নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৮:২৩

জামায়াতের মতো বিএনপি ইসলামী আইনে বিশ্বাস করে না: ফখরুল

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে ঐক্যফ্রন্টের সরকারে জামায়াতের কেউ থাকবে না বলে জানিয়েছেন গঠিত এই ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের দলের সঙ্গে জামায়াতের পার্থক্য টেনে তিনি বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের মতো ইসলামি আইনে বিশ্বাস করে না। মৌলবাদে বিশ্বাস করে না।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের প্রধান রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিএনপি। জোট গঠনের পর থেকেই নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়া মৌলবাদী জামায়াতকে নিয়ে বিভিন্ন  মহলের সনমালোচনায় বিপাকে পড়তে হয়েছে কামাল-ফখরুলদের।

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে। তবে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি থেকে এবার জামায়াতের ২২ জন নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জামায়াত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “জামায়াত নিয়ে যখন আমাদের প্রশ্ন করা হয়, আপনাকে বলছি শুনুন, বিএনপি কিন্তু জামায়াত নয়। বিএনপি ইসলামি আইনে বিশ্বাস করে না। বিএনপি মৌলবাদে বিশ্বাস করে না। জামায়াতের প্রতি আমাদের বিশেষ কোনও প্রেম নেই।”

২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটগতভাবে ক্ষমতায় এসেছিল। জামায়াতের সঙ্গে জোটকে কৌশলগত আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, “ তাদের সঙ্গে থাকলে ৫০টি আসনে আমরা সুবিধা পাই। এসব আসনে ব্যবধান খুব কম এবং লড়াই হাড্ডাহাডি। আমাদের ছাড়া তারা মাত্র তিনটি আসন পায়।

তবে নির্বাচনে জিতলে ভবিষ্যৎ সরকারে জামায়াত নেতারা থাকবেন কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “ কোনও সুযোগ নাই।”

সাক্ষাৎকারে ফখরুল বলেছেন, “২০০১-০৬ শাসনামলে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ভারতের চরম সমালোচক ছিল, যা দিল্লি মনে রেখেছে। তবে ভারতের বর্তমান সরকার ডানপন্থী হলেও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই বিএনপির। বিজেপি ডানপন্থী রাজনৈতিক দল, আরএসএস-ও তাই। কিন্তু তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।”

“দুর্ভাগ্যবশত আমি জানি না কেন ভারত আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্ম এড়িয়ে যায়। যে অপকর্মে রয়েছে নির্যাতন, গুম ইত্যাদি। সাধারণ মানুষ ভারতকে দোষ দিচ্ছে, মানুষ মনে করে ভারত আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করছে।” বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে ঘৃণিত রাজনৈতিক দল। কিন্তু শুধু ভারতের কারণেই তারা টিকে আছে, ভারতই আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশের পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের ‘ভালো যোগাযোগ’ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ওই সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াত এখনও ফখরুলের জন্য বোঝা হিসেবে রয়ে গেছে এবং তিনি তাদের আড়ালে রাখতে চাইছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত