নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ২২:০৯

জামানতও রক্ষা করতে পারলেন না শমসের

ছবি: সংগৃহিত

এবারের নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্রার্থী ছিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী। নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মূহূর্তে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের সাবেক দল বিএনপির সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

সিলেট-৬ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রতীক সোনালী আঁশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শমসের। মূলত তার কারণেই এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনায় ছিল সিলেট-৬ আসন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবার শমসেরের জন্য এই আসনে আওয়ামী লীগ ছাড় দিতে পারে বলেও আলোচনা ছিলো। শমসেরের পক্ষে আওয়ামী লীগেরও অনেক নেতা প্রচার চালাতে দেখা গেছে। এমনকি ভোটের শেষ মূহূর্তেও শমসেরকে জেতানোর চেষ্টা চলছে বলে গুঞ্জন ছিলো।

তবে ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। জয় তো দূরের বিষয়, কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেননি শমসের। উল্টো প্রথমবার প্রার্থী হয়েই খুইয়েছেন জামানত।

এ আসনে নৌকা প্রতীকে ৫০ হাজার ৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন ঈগল প্রতীকে ৩৩ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়েছেন।  তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি সোনালী আঁশ পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৮ ভোট।

নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ না পেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সে হিসেবে জামানত খোয়াতে হয়েছে শমসের মুবিনকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত