২৩ মার্চ, ২০১৬ ১৪:৪১
মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী যখন অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে লড়েছেন তখন নিশ্চয়ই তিনি ভেবেছিলেন শত্রুমুক্ত হলে একটি ধর্মনিরপেক্ষ শোষণহীন সমাজ হবে, সেখানে কেউ শাসকের পক্ষে কথা বলবে না, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে শোষিতে পাশে। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন যেই দেশ মুক্ত করতে মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে মন্দিরের পুরোহিত নিজেদের ধর্ম পরিচয়ের উপরে স্থান দিয়েছিলেন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে সেই দেশে যে যার আপন ধর্ম পালন করবে নিজের মত করে- এমনটাই মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাইফুর রহমান মিশু।
বুধবার (২৩ মার্চ) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর একজন মুক্তিযোদ্ধাকে খুন করা হচ্ছে এমন ঘটনা আমাদের জাতিগত লজ্জা বলেও মন্তব্য মিশুর।
কুড়িগ্রাম শহরের গাড়ীয়াল পাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় উত্তাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। মুসলিম থেকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষা নেওয়া এ মুক্তিযোদ্ধাকে মঙ্গলবার(২২ মার্চ) সকাল সাতটার দিকে বাড়ির কাছাকাছি কুড়িগ্রাম-মোগলবাসা সড়কে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয়ের কতিপয় দুর্বৃত্ত।
মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নং-ম-৯৪৭৩৫৫ এবং স্বারক নাম্বার বি/ম/সা/কুড়িগ্রাম/প্র:৩/৪৩/২০০২/২৯৮০।
সাইফুর রহমান মিশুর ফেসবুক পোস্টের বিস্তারিত-
মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী যখন অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে লড়েছেন তখন নিশ্চয়ই তিনি ভেবেছিলেন শত্রুমুক্ত হলে একটি ধর্মনিরপেক্ষ শোষণহীন সমাজ হবে, সেখানে কেউ শাসকের পক্ষে কথা বলবে না, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে শোষিতে পাশে। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন যেই দেশ মুক্ত করতে মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে মন্দিরের পুরোহিত নিজেদের ধর্ম পরিচয়ের উপরে স্থান দিয়েছিলেন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে সেই দেশে যে যার আপন ধর্ম পালন করবে নিজের মত করে।
জাতির এই সূর্য সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়েছে। খুনের মোটিভ জানা যায়নি, প্রকৃত খুনিরা ধরা না পড়লে কখনো জানাও যাবে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে যেই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি নিজের জীবন বাজি রেখেছিলেন সেই ধর্মের কারণেই তাকে এভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে এই দেশে।
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরে এমন ঘটনা আমাদের জন্য জাতিগত লজ্জার!
#JusticeForHossainAli
আপনার মন্তব্য