সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৫:০৩

‘তরুণরা একা লড়বে আপনাদের দরকার নেই’

হেফাজতে ইসলাম, আওয়ামী ওলামা লীগ, বাঁশেরকেল্লার আদর্শিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার তালিকায় আরও দুই লেখক-শিক্ষাবিদের নাম যুক্ত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উল্লেখিতদের মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট পাপলু বাঙ্গালী।

রোববার (১০ এপ্রিল) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পাপলু সম্প্রতি খুন হওয়া নাজিমুদ্দিন সামাদের বিরুদ্ধে একজন লেখকের বিদেশ যাওয়ার অভিপ্রায়ে লেখালেখির অভিযোগকে নাকচ করে লিখেন, নাজিমুদ্দিন সামাদ যাকে হত্যা করা হল। তার পরিবার জানাচ্ছে তাকে চেষ্টা করা হয়েছিল দেশের বাইরে পাঠাতে সে যায় নি। কারণ তার পরিবারের সবাই দেশের বাইরে থাকেন। অনায়াসেই সে দেশের বাইরে যেতে পারতো। লেখকের মতে তাইলে সামাদ আমেরিকা যাওয়ার লোভে লেখালেখি করতো। কিন্তু এই আমেরিকার ভাবনা বিষয়টাও ভুয়া খবর।

পাপলু নিজের হতাশার কথা জানিয়ে এরপর প্রদীপ্ত উচ্চারণে লিখেন, এই তরুণরা একা লড়বে আপনাদের কোনই দরকার নেই। লড়তে লড়তে মরে যাচ্ছে। তারপরও আপনাদের মতো মাথা নত করে থাকবে না।

পাপলু বাঙ্গালীর ফেসবুক পোস্টের বিস্তারিত-

বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক লিখলেন, আমেরিকা ব্লগারদের নিয়ে ভাবছে। কোন এক মুক্তমনা ছেলে নাকি তাকে বলেছে, এবার আল্লাহ মুখ তুলে তাকিয়েছেন। আমার প্রিয় সাহিত্যিক রসবোধও প্রচুর। লেখকের বাবাও আমার প্রিয় কবি। প্রথমে ধর্তব্যের মধ্যে নেই নি। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। সেই আদিম এবং অকৃত্রিম মুখোশ। সেখানে দেড় হাজার মানুষের লাইক। প্রায় শ'খানেক শেয়ার। এবং শেয়ার যারা করেছে তারা অসাধারণ কুৎসিত বাণী ঝেড়েছে মন্তব্যসহ।

নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যার রক্ত এখনো বাংলাদেশের মাটি থেকে মুছে যায় নি। কিন্তু এই প্রিয় মানুষগুলো তাদের খোলস থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেছে।

নাজিমুদ্দিন সামাদ যাকে হত্যা করা হল। তার পরিবার জানাচ্ছে তাকে চেষ্টা করা হয়েছিল দেশের বাইরে পাঠাতে সে যায় নি। কারণ তার পরিবারের সবাই দেশের বাইরে থাকেন। অনায়াসেই সে দেশের বাইরে যেতে পারতো।

লেখকের মতে তাইলে সামাদ আমেরিকা যাওয়ার লোভে লেখালেখি করতো। কিন্তু এই আমেরিকার ভাবনা বিষয়টাও ভুয়া খবর।

আজ আরেকজন প্রিয় মানুষ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বক্তব্য পত্রিকায় পড়লাম। আহা লোকটার লিখিত বই আমার সংগ্রহে প্রায় সবগুলোই আছে। তিনি জানালেন, ব্লগারদের সংযত হওয়া উচিৎ। ব্লগারদের সস্তা লেখা তিনি পড়েন না। এসব পাত্তা না দিতে তিনি সবাইকে আহবান জানিয়েছেন।

কিন্তু মহোদয় অভিজিৎ রায়ের লেখা আমরা পাত্তা দেই, অনন্ত বিজয়ের লেখা আমি পাত্তা দেই সর্বোপরি সবার লেখাই আমি পাত্তা দেই। অভিজিৎ রায় বাজারি লেখা লেখেন নাই। কিন্তু আপনারা মাঝে মধ্যে লিখেছেন। বাজার আপনারা পছন্দ করেন না । কিন্তু আপনারা লিখেছেন। আফসোস নেই।

এই তরুণরা একা লড়বে আপনাদের কোনই দরকার নেই। লড়তে লড়তে মরে যাচ্ছে। তারপরও আপনাদের মতো মাথা নত করে থাকবে না। হাত ধুয়ে নিলাম, মস্তিষ্ককেও বুঝ দিয়ে দিলাম। হিপোক্রেসি থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই মঙ্গল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত