সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৩ এপ্রিল, ২০১৬ ০২:০০

টিআইবি প্রমাণ করুক তারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয় : জয়

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ তাদের সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করে এটা প্রমাণ করুক যে তারা তাদের চিলি শাখার মতই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, ফেসবুকে এমন মন্তব্য করে পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় প্রশ্ন রেখে লিখেন,  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কতটা স্বচ্ছ এবং অন্যদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলার অধিকার তাদের কীভাবে থাকে? সর্বোপরি, আমাদের দেশে সব সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের সম্পদের বিবরণ দিতে হয়।

জয় আরও লিখেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নিজেদেরটা দেয় না, তথাপিও তারা তাদের দুর্নীতির পর্যবেক্ষক বলে দাবী করে। আমরা কী করে জানি যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, তাদের কোন লুকানো সম্পদ নেই এবং তারা তাদের সব ট্যাক্স পরিশোধ করেছে?

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেসবুক পোস্টের বিস্তারিত-

বিগত ২ মাস ধরে আমি ভ্রমণের মাঝে আছি এবং সচরাচর পোস্ট করতে সক্ষম হইনি। শেষ পর্যন্ত আমি আমার পরিবারকে নিয়ে একটু অবকাশ কাটাতে ডিজনি ওয়ার্ল্ডে গিয়েছিলাম। আমার ধারণা সোফিয়ার মা সুফিয়ার চেয়ে বেশি উপভোগ করেছে!

একটা বিষয় আমি উত্থাপন করতে চাই, সেটা হলো সম্প্রতি চিলির ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধানের পদত্যাগ। বিদেশে সম্পদ লুকানোর বিষয়ে তার নাম এসেছিলো পানামা পেপার্সে।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কতটা স্বচ্ছ এবং অন্যদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলার অধিকার তাদের কীভাবে থাকে? সর্বোপরি, আমাদের দেশে সব সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের সম্পদের বিবরণ দিতে হয়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নিজেদেরটা দেয় না, তথাপিও তারা তাদের দুর্নীতির পর্যবেক্ষক বলে দাবী করে। আমরা কী করে জানি যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, তাদের কোন লুকানো সম্পদ নেই এবং তারা তাদের সব ট্যাক্স পরিশোধ করেছে?

তাদের যদি সাহস থাকে, তবে অন্যের দুর্নীতির বিষয়ে মন্তব্য করার আগে তাদের স্বেচ্ছায় নিজেদের সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করা উচিৎ। আমার সন্দেহ আছে যে তাদের সেই সাহস রয়েছে কিনা, তাই মনে হয় একটি আইন থাকা প্রয়োজন। যে কেউ দুর্নীতির বিষয়ে পর্যবেক্ষক হতে চাইবে তাদের নিজেদের সম্পদের বিবরণ দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করে নিতে হবে, ঠিক যেমন এমপিদের করতে হয়।

যদি আমার সাথে একমত হোন, অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি লাইক এবং শেয়ার করুন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ তাদের সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করে এটা প্রমাণ করুক যে তারা তাদের চিলি শাখার মতই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত