সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৪ এপ্রিল, ২০১৬ ১৭:১৯

‘এসো হে বৈশাখ’ গানে কাদের পিত্তি জ্বলে?

বাঙালি যখন 'এসো হে বৈশাখ' বলে গান ধরে তখন কাদের পিত্তি জ্বলে বলে প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ।

পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানানোর এ গানে যাদের পিত্তি জ্বলে তাদেরকে ইবলিশ আখ্যা দিয়ে তিনি 'মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরাকে 'যৌবনের প্রত্যয়ী ঘোষণা' উল্লেখ করে আরও লিখেন, আমাদের যৌবন আমাদের গ্লানি মুছে দিবে আর আমাদের জীবনে যৌবনরস ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের পৃথিবীকে করবে শুচি।

ইমতিয়াজ মাহমুদের ফেসবুক পোস্টের বিস্তারিত-

বাঙালি যখন 'এসো হে বৈশাখ' বলে আজকের তপ্ত সকালে গান ধরেছে তখন কাদের পিত্তি জ্বলে গেছে বলেন তো? জি। ভুতের সিনেমাতে দেখেন না, ওঝা এসে যখন মন্ত্র পড়ে তখন ইবলিশগুলি কিরকম চুলবুল করতে থাকে? ঐ ইবলিশগুলির পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে।

(২)
চলেন গান করি "এসো হে বৈশাখ, এসো এসো"। প্রতিটা লাইন গেয়ে দেখুন। বাঙালির সাম্প্রতিক জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখুন, তারপরে গান করুন- এসো এসো। এসো হে বৈশাখ।

বলুন 'তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক'। এই মুমূর্ষ আর আবর্জনা কি আপনি চিনেন না? চিনেন তো। যদি না চিনেন, একটু অপেক্ষা করেন, চোখ কান খোলা রাখেন- সেইসব মুমূর্ষ আবর্জনা নিজেরাই এসে নিজেদেরকে চিনিয়ে দেবে। গেয়ে উঠুন 'যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক'।

প্রাণ ভরে প্রত্যয় ঘোষণা করুন, 'মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।' না, ভুল বুঝবেন না। এখানে প্যানপ্যানানি প্রার্থনা জাতীয় ইয়ে কিছু নাই। কে আমাদের জীবন থেকে জরা ঘুচিয়ে দিতে চায়? কে পারে? যৌবন। এটা হচ্ছে যৌবনের প্রত্যয়ী ঘোষণা। আমাদের যৌবন আমাদের গ্লানি মুছে দিবে আর আমাদের জীবনে যৌবনরস ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের পৃথিবীকে করবে শুচি।

সে জন্যেই আহবান, 'রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।' এবং আরও কি বলছি, 'মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।' তরুণ বন্ধুরা, আপনাদের দেখলে যে আশান্বিত হই, সেটা এই জন্যেই। আপনারাই তো সেই প্রলয়ের শাঁখটি বাজাবেন।

(৩)
সকলকে শুভ নববর্ষ জানাই। ভালো থাকুন সকলেই। মঙ্গল হোক সকলের। শুধু একটা কথা মনে করিয়ে দিই- মঙ্গল এমনি এমনি আসে না বাহে। অশুভ শক্তিকে মেরেই মঙ্গল আনতে হয়। ভুলবেন না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত