১৩ মে, ২০১৬ ০২:৩৬
ঘৃণা প্রকাশে পাকিস্তানিরা দারুণ ‘সৎ এবং সাহসী’, আহা, আমরা কবে পাকিস্তানীদের মতো ‘সৎ ও সাহসী’ হয়ে উঠতে পারবো? এমনটা লিখেছেন লেখক, ব্লগার হাসান মোরশেদ।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মোরশেদ লিখেন, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের কবরে তারা লিখে রেখেছিলো- 'এখানে শুয়ে আছে দেশদ্রোহী গাদ্দার'। গণহত্যাকারী জামাতীদের কবরে কবে আমরা লিখে রাখতে পারবো- 'এখানে শুয়ে আছে খুনী ও ধর্ষক'।
হাসান মোরশেদের পোস্টের বিস্তারিত-
আহা, আমরা কবে পাকিস্তানীদের মতো 'সৎ ও সাহসী' হয়ে উঠতে পারবো?
ঘৃণা প্রকাশে পাকিস্তানীরা দারুণ সৎ, আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের কবরে তারা লিখে রেখেছিলো- 'এখানে শুয়ে আছে দেশদ্রোহী গাদ্দার'। গণহত্যাকারী জামাতীদের কবরে কবে আমরা লিখে রাখতে পারবো- 'এখানে শুয়ে আছে খুনী ও ধর্ষক'
পাকিস্তানের সরকার, সংসদ, তরুণরা দুর্দান্ত সৎ। জামাতীরা যতোই ধামাচাপা দিতে চায়- পাকিস্তানীরা সদর্পে ঘোষণা করে 'ওরা আমাদেরই লোক'। আমরা কবে সবাই মিলে ওদের গলাধাক্কা দিয়ে বলতে পারবো- 'তোরা ওদেরই লোক'
আমরা কবে পাকিস্তানের চোখে চোখ রেখে বলতে পারবো- সিমলা চুক্তি অনুযায়ী ১৯৫ সেনা অফিসারের বিচারের দায়িত্ব নিয়েছিলো পাকিস্তান- পাকিস্তানকেই এই বিচার করতে হবে। রিজার্ভ ব্যাংকের কোটি কোটি ডলারের পাওনা আমাদের মিটিয়ে দিতে হবে। গণহত্যার আরেক অংশীদার আটকে পড়া পাকিস্তানীদের ফিরিয়ে নেবার যে কথা ছিলো- সেটার কী হলো?
একাত্তুরে পাকিস্তান আর্মি আর রাজাকারদের হাতে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ খুন হচ্ছিলো তাদের বেশিরভাগ ধর্মে মুসলমান ছিলো তবু তুরস্ক, সৌদী সহ প্রায় প্রতিটি মুসলমান রাষ্ট্র এই গণহত্যাকে সমর্থন দিয়ে ইসলামেরই অবমাননা করেছিলো- এই সত্য উচ্চারণের মতো সৎ ও সাহসী হয়ে উঠবে একদিন বাংলাদেশ।
আপনার মন্তব্য