সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২০ মে, ২০১৬ ২২:৫১

সেলিম ওসমানের প্রশংসা করে হেফাজতের ভিডিওবার্তা

নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনায় এবার মাঠে নেমেছে হেফাজতে ইসলাম। সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের প্রশংসা করে এবার তারা ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছে।

শুক্রবার বিকেলে আপলোড করা ৬ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে কথা বলেছেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী।  

হেফাজতের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা ভিডিওটিতে বাবুনগরী নারায়ণগঞ্জের স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তির কঠোর শাস্তির দাবি এবং সেলিম ওসমানের অবস্থানের প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, গত কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জে  ছাত্রদের হট্টগোল থামানোর জন্য প্রধান শিক্ষক বলেছেন, তোমরাও নাপাক, তোমাদের আল্লাহও নাপাক। সেই মাস্টার আল্লাহকে কটাক্ষ করেছেন। নারায়ণগঞ্জের জনগণ উত্তেজিত হয়ে তার ওপর (শিক্ষক) হামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে, তখন সেই এলাকার এমপি সেলিম ওসমান সাহেব উত্তেজনা থামানোর জন্য, জনগণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তাকে (শিক্ষক) কান ধরিয়েছেন।

জুনায়েদ বাবুনগরী মিডিয়ার প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, এরপর কিছু ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়া এমপি সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, ওই মাস্টারের পক্ষ নিয়েছে। সেলিম ওসমানকে আমি ব্যক্তিগতভাবে না জানলেও তার এই পদক্ষেপের প্রশংসা করি। কারণ আল্লাহকে শুধু মুসলমান নয়, সমস্ত মানুষ মানে, সবাই শ্রদ্ধাশীল। এই অবস্থায় এই হিন্দু মাস্টার আল্লাহকে কটাক্ষ করে কোটি কোটি মুসলমানসহ সমস্ত মানুষের অন্তরে আঘাত হেনেছেন। সুতরাং এমপি সাহেব যে তার কান ধরাইছেন, এটা কোনও এমপি’র অপরাধ নয়।

ভিডিওটিতে জুনায়েদ বাবুনগরী আরও বলেন, এখন ওই মাস্টারের পক্ষ অবলম্বন করে যারা কান ধরা দিবস পালন করতেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ সাহেবের ওপর যে কয়েক বছর আগে যখন উশৃঙ্খল ছাত্ররা হামলা করেছিল, তখন তারা এই আন্দোলনকারীরা ছিলেন? শাপলা চত্বরে হাজার হাজার আলেমকে কান ধরানো হয়েছিল, তখন তারা কোথায় ছিল।

বাবুনগরী বলেন, আমি সেলিম ওসমান সাহেবের পক্ষে এবং তার কাজ প্রশংসনীয় মনে করি। যে স্কুল কমিটি ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করেছিল, তাদের পদক্ষেপও অনেকটা প্রশংসনীয়। যারা আল্লাহর সঙ্গে বেয়াদবি করবে, ইসলামের অবমাননা করবে, জনগণের প্রতি আহ্বান করব সুশৃঙ্খলভাবে এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে। সরকারের কাছে অনুরোধ করব, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার করে ‘হিন্দু মাস্টারের’ দৃষ্টান্ত শাস্তি দেওয়া হোক। না হলে দেশে  সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি হবে। আমরা সাম্প্রদায়িকতা চাই না। আমরা চাই হিন্দু-মুসলমান শান্তিতে বসবাস করতে। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা হলে শান্তি বিনষ্ট হবে।


হেফাজতের ভিডিও বার্তা

আপনার মন্তব্য

আলোচিত