সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২৩ মে, ২০১৬ ০১:৪০

‘সেই মানুষ এখন বিহ্বল, তাঁর পায়ে ধরাকে আমলে নিচ্ছি না’

'সেই মানুষ এখন বিহ্বল। সেই মানুষটি এখন ক্লান্ত। তাঁর এই পায়ে ধরা কিংবা ভগবান ডাকাকে আমলে নিচ্ছি না। আমরা তাকে শক্তি দিতে পারি নাই। আমরা তার পাশে আরো শক্তভাবে দাঁড়াতে পারি নাই। নিজের দিকে থুথু ছুঁড়ে মারি।'- ফেসবুকে এমনটি লিখেছেন অনলাইন এক্টিভিস্ট ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী পাপলু বাঙ্গালী।

নারায়নগঞ্জের লাঞ্ছিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে উদ্দেশ্য করেই এমন কথা লিখেন পাপলু। যদিও রোববার রাতে দেওয়া এ স্ট্যাটাসে কারো নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

পাপলু তাঁর ফেসবুকে লিখেন-


সাধারণ এক স্কুল শিক্ষক। ঘরে স্ত্রী আছেন, আছে সন্তান। বিশেষ করে ঘরে তাঁর যুবতী মেয়েরা আছেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার। যারা তার প্রতিপক্ষ তারা শক্তিশালী এবং হিন্স্র। সাত খুন-তিন খুন-শিশু খুন করেও এরা ঠিকে আছে। তার সঙ্গে এসে মিলিত হয়েছে তৌহিদী জনতা। এই জনতা একাত্তরেও ছিলো এখনো আছে। এখন আরো স্বাস্থ্যবান আরো পরিপুষ্ট। এর মধ্যে একের পর এক হুমকি। মেয়েকে পর্যন্ত ধর্ষণের হুমকি এসেছে। আর নিখিলের পরিণতি তো তিনি নিজের চোখেই দেখেছেন। সেই শিক্ষক, সেই পিতা, সেই মাইনর পিপল, সেই মানুষ। বিপদে আছেন যতটানা তার জন্য ঠিক তার চেয়ে বেশি পরিবারের জন্য। একা দাঁড়িয়ে আছেন রুমির বাঙলায়। সরকারের কিছু মানুষ তার পক্ষে বলছে কিন্তু এটাই শেষ নয়। তিনি জানেন এসব ছাই। উড়তেই থাকে, উড়তেই থাকে দিনশেষে রিক্ত হাত। সেই লোকটি শয়তান সেলিম উসমানকে ডাকছেন ভগবান। নাসিমের পায়ে ধরে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। তিনি জানেন তার বিপদ। তিনি জানেন তার উপর কতটুকু হিংস্র আক্রমণ হতে পারে। সেই মানুষ এখন বিহ্বল। সেই মানুষটি এখন ক্লান্ত। তাঁর এই পায়ে ধরা কিংবা ভগবান ডাকাকে আমলে নিচ্ছি না। আমরা তাকে শক্তি দিতে পারি নাই। আমরা তার পাশে আরো শক্তভাবে দাঁড়াতে পারি নাই। নিজের দিকে থুথু ছুঁড়ে মারি। আরেকটা রাত কেটে যাক বিষন্ন এবং কচ্ছপের মতো হাঁটুক সুস্থ ও সুন্দর।


উল্লেখ্য, রোববার হাসপাতালে শ্যামল কান্তি ভক্তকে দেখতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম। এসময় শ্যামল কান্তি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পায়ে ধরেছেন এমন একটি ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা যায়। এই পায়ে ধরার সমালোচনাও করেন অনেকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত