সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৯ জুন, ২০১৬ ০১:১৪

‘নৌকায় ভোট দেয়ায় হবিগঞ্জে সংখ্যালঘু বাড়িতে হামলা, দেখতে যান নি কোনও নেতা’

হবিগঞ্জে সদর উপজেলার পৈল গ্রামে ইউপি নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে। নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে প্রতিপক্ষ দ্বারা তারা আক্রান্ত হন বলে জানা যায়।

এই ঘটনায় নিজ দলের হবিগঞ্জের দায়িত্বশীল কোন নেতা সামান্য সমবেদনা জানাতেও যান নি বলে আক্ষেপ করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতা সুশান্ত দাশ গুপ্ত।

যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে হবিগঞ্জের 'নৌকার ঘাঁটি' আর সুরক্ষিত নেই ইঙ্গিত করে সুশান্ত লিখছেন:


আমাদের হবিগঞ্জের সাধারণ একটা রাজনৈতিক কথা প্রচলিত আছে, ''গোপালগঞ্জের পরেই হবিগঞ্জের মাটি নৌকার ঘাঁটি''।

কিন্তু গত ইউনিয়ন নির্বাচনে আমাদের হবিগঞ্জ জেলার একটা তথ্য আমাদের জন্য খুব পীড়াদায়ক বটে, '' ৩ এমপির নিজ আসনে নৌকাডুবি।'' ( সোর্সঃ http://tinyurl.com/hqzxze6 )।

সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিন সদস্যের নিজ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থীই বিজয়ী হতে পারেনি । তিন সংসদ সদস্যের ইউনিয়নে ২টিতে বিএনপি ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।

হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খানের নিজ ইউনিয়ন পুকড়ায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছিলেন এডভোকেট আলাউদ্দিন। নির্বাচনে তিনি পরজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের কাছে। আনোয়ার হোসেন ভোট পেয়েছেন ৪৭০৬ । এডভোকেট আলাউ্িদ্দন পান ১৯৮৭ ভোট ।

হবিগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মাহবুব আলীর নিজ ইউনিয়ন মাধবপুর বুল্লা । নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির শামছসুল ইসলাম মামুন। তিনি পেয়েছেন ৩৪৪৫ ভোট। প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগের বশির মিয়া পেয়েছেন ২৭৫৮ ভোট।

৪ জুন নির্বাচনে রিচি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মিয়া মো: ইলিয়াছ ৭৪৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৮৯২ ভোট পেয়ে ৪র্থ স্থানে ছিলেন। হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মো: আবু জাহির হচ্ছেন এই ইউনিয়নের কৃতি সন্তান। শুধু তাই নয় এই ঐতিহাসিক রিচি ইউনিয়নেই যাদের বাড়ি তারা হলেন হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগ প্রেসিডেন্ট আতাউর রহমান সেলিম, হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রেসিডেন্ট কামরুল হাসান, জেলা শ্রমিক লীগের প্রেসিডেন্ট আরব আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্তোজা আলি এবং মশিউর রহমান শামীম, পৌর আওয়ামী লীগ জেনারেল সেক্রেটারী মুতাচ্ছিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ জেনারেল সেক্রেটারী মুকিদুল ইসলাম সহ আরো অনেকে।

শুধু তাই নয়, হবিগঞ্জ শহরতলীর পৈল গ্রামে সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিজয় উল্লাসের নামে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে। হামলা হয়েছে রবীন্দ্র গোপের ফার্মেসিতে, হামলা হয়েছে পৈল ইউনিয়ন আওয়ামী সেক্রেটারী শিবেন্দ্র দেবের বাড়িতে বিজয়ী প্রার্থী সৈয়দ আরিফের নেতৃত্বে।

দুঃখের বিষয় আমাদের হবিগঞ্জের একজন নেতাকেও দেখলাম না, পৈল ইউনিয়নের আক্রান্ত সংখ্যালঘুদের বাড়ি পরিদর্শনে গিয়ে একটু সমবেদনা জানাতে!

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত