সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

০৯ জুন, ২০১৬ ২৩:০২

‘জঙ্গিবাদকে পেঁদানি দিতে মাজারপন্থীদের সহায়তা নিন’

দেশে সাম্প্রতিক উগ্র ধর্মীয় জঙ্গিবাদের বিস্তার ও একের পর এক গুপ্তহত্যায় সাধারণ মানুষ আতকিংত। সরকার প্রথমে খুব বেশি গুরুত্ব না দিলেও চট্টগ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যা পর আগের চেয়ে বিষয়টিকে অনেক গুরুত্বের সাথে দেখছে। প্রশাসন থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তব চরমপন্থার মত ক্ষতিকারক দর্শনের বিরুদ্ধে লড়াই  কেবল আইনি পথে সম্ভব নয় বলে মনে করেন অনেকে।

বরং উন্নত দর্শন দিয়ে ক্ষতিকারক দর্শনকে পরাভূত করা সম্ভব বলে মনে করেন কথা সাহিত্যিক স্বকৃত নোমান। বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক স্ট্যাটাসে সরকারের উদ্দেশ্যে নোমান বলেন, "দেশের যত মাজার আছে  সব কটির পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বসুন। সরকারিভাবে তাদের সহায়তা করুন এবং জঙ্গিবাদ দমনে তাদের সহায়তা চান। দেখবেন সালাফিজমকে পেঁদানি দিয়ে তারা পগার পার করে দিচ্ছে।"

শান্তিবাদী সুফীজমের মাধ্যমে উপমহাদেশে ইসলামের প্রবেশ বলে অনেক চিন্তাবিদ মনে করেন। নোমান সেদিকে ইঙ্গিত করেই বলেন,  উগ্রতার বিরুদ্ধে সুফীজমকে প্রোমোট করলেই সাম্প্রতিক সমস্যার সমাধান বেরিয়ে আসবে।

নোমান লিখেছেন:

সরকারকে বিনাপয়সায় একটা পরামর্শ দেই। দেশে যত মাজার আছে, যেমন ধরুন শাহজালাল, শাহপরান, খানজাহান, মাইজভাণ্ডারী, আটরশী, সুরেশ্বরী, চন্দ্রপুরী ইত্যাদি; এবং খাজাবাবা, গাজাবাবা, খানাবাবা, জিন্দাবাবা, নেংটোবাবা, ভণ্ডবাবা; এবং ভাল্লুক শাহ, শিয়ালশাহ, মুরগীশাহ, সর্পসাহ―এ জাতীয় যত বাবা, মামা আর শাহ’র মাজার আছে সব কটির পরিচালনা কমিটির সঙ্গে বসুন। সরকারিভাবে তাদের সহায়তা করুন এবং জঙ্গিবাদ দমনে তাদের সহায়তা চান। দেখবেন সালাফিজমকে পেঁদানি দিয়ে তারা পগার পার করে দিচ্ছে। সালাফিজম পগার পার হয়ে গেলো তো জঙ্গিবাদও লেজ গুটিয়ে পালাল। কথাটা দায়িত্ব নিয়ে বললাম। অযৌক্তিক কিছু বললাম কিনা একবার পরীক্ষা করেই দেখুন। যদি ইতিবাচক ফলাফল না পান, আমার নাগরিকত্ব বাতিল করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দিয়েন।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত