সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৬ ০২:৩০

‘আয়করের ক্ষেত্রে পেশাটা মুখ্য নয়, আয়টা মুখ্য’

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী এক আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কৃষকদের ট্যাক্সের আওতায় নিয়ে আসার ইঙ্গিত দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর এপ্রসঙ্গে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,  ন্যূনতম কতো টাকা আয়ের উপর ট্যাক্স দিতে হবে- তার নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট আইন আছে। কাজেই এ নিয়ে বিতর্ক বৃথা। আয়করের ক্ষেত্রে পেশাটা মুখ্য নয়- আয়টা মুখ্য।

একই প্রসঙ্গে সুদীপ্ত সুজয় ফেসবুকে লিখেছেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন কৃষকদের ট্যাক্স দিতে হবে। ওমনি আমরা ভেবে নিলাম যে ক্ষেতমজুর, দিনমজুর কৃষকদেরও ট্যাক্স দিতে হবে। আচ্ছা, কৃষক বলতে কি শুধু ক্ষেতমজুর আর দিনমজুর বোঝায়? কেউ যদি কৃষিকাজ করে ট্যাক্স পেয়্যাবল পরিমাণে আয় করে তাহলে তার কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করতে সমস্যা কোথায়? কৃষিকাজ করেও এমন আয়কারী কি দেশে একজনও নেই?

উল্লেখ্য, গত ১১ জুন রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭ পরবর্তী পর্যালোচনা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন সময় হয়েছে আমাদের চাষি কিষাণদের ট্যাক্স দেওয়ার। কারণ এখন দেশে বড় কৃষক অনেক হয়ে গেছে।

তবে কৃষকদের আয়ের ওপর করারোপ করতে হবে, পুরো উৎপাদনের ওপর নয় বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।

শওগাত আলী সাগর-এর ফেসবুক পোস্ট-

ন্যূনতম কতো টাকা আয়ের উপর ট্যাক্স দিতে হবে- তার নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট আইন আছে। কাজেই এ নিয়ে বিতর্ক বৃথা। আয়করের ক্ষেত্রে পেশাটা মুখ্য নয়- আয়টা মুখ্য।

আমার তো মনে হয় ১৮ বছর ও তার ঊর্ধ্ব বয়সী প্রতিটি নাগরিকেরই আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক থাকা উচিৎ। তাতে নাগরিক তার আয়ের বিবরণ ঘোষণা করবেন। পশ্চিমা দেশগুলোতে এটিতে বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশেও এই বিধান আছে কী না সেটি আমার জানা নেই।

আয়কর প্রতিটি নাগরিকের জন্য, সেখানে কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, চাকুরে- নানা পেশায় শ্রেণীভূক্ত করার সুযোগ থাকা উচিৎ না।

সুদীপ্ত সুজয়-এর ফেসবুক পোস্ট-

লোকটা বলল ক, আমরা ধইরা নিলাম লোকটা কলা খাইতে বলসে। আমরা এত বুদ্ধি মাথায় রাইখা ঘুমাই ক্যামনে?

অর্থমন্ত্রী বলেছেন কৃষকদের ট্যাক্স দিতে হবে। ওমনি আমরা ভেবে নিলাম যে ক্ষেতমজুর, দিনমজুর কৃষকদেরও ট্যাক্স দিতে হবে। আচ্ছা, কৃষক বলতে কি শুধু ক্ষেতমজুর আর দিনমজুর বোঝায়? কেউ যদি কৃষিকাজ করে ট্যাক্স পেয়্যাবল পরিমাণে আয় করে তাহলে তার কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করতে সমস্যা কোথায়? কৃষিকাজ করেও এমন আয়কারী কি দেশে একজনও নেই?

অবশ্য ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া আমাদের স্বভাবগত ব্যাপার। যে জাতির মাত্র ১ শতাংশ মানুষ ট্যাক্স দেয় সে জাতি ট্যাক্স কথাটা শোনামাত্রই ভয়ে কুঁকড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। ভাগ্য ভালো আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। তাই ইচ্ছেমত ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েও দিব্যি টাকার পাহাড় বানাতে পারি। হতাম আমেরিকা, কানাডা কিংবা ইউরোপের দেশগুলোর নাগরিক তবেই বুঝতাম ট্যাক্স কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী!

আপনার মন্তব্য

আলোচিত