সোশ্যালমিডিয়া ডেস্ক

২৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ২০:৫৮

সড়কের ‘পাউডারে’ সজ্জিত

'ধূলার রাজ্যে মানুষ মেকঅাপময়। কষ্ট করে চিনে নিয়েন।'- নিজেদের দুটি ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে এমনটি লিখেছেন দৈনিক প্রথম আলোর আলোকচিত্র সাংবাদিক আনিস মাহমুদ।

ছবিতে দেখা যায় আনিস মাহমুদসহ আরো কয়েকজন আলোকচিত্র সাংবাদিক একটি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের পুরো মুখমন্ডল ধুলোয় ধুলিময়। ধুলোর কারণে কাউকে চেনার উপায় পর্যন্ত নেই। আর সড়ক দিয়ে ধুলো উড়িয়ে ছুটে চলছে গাড়ি।

আনিস জানান, পেশাগতকাজে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক দিয়ে সোমবার কোম্পানীগঞ্জে গিয়েছিলেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপোযোগী এই সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার কারণেই এমন দশা হয়েছে তাদের।

আনিসের সাথেই কোম্পানীগঞ্জ গিয়েছিলেন দৈনিক সকালের খবরের আলোকচিত্র সাংবাদিক এইচএম শহিদুল ইসলাম। নিজের ধুলোময় একটি কিম্ভূতকিমাকার ছবিযুক্ত করে শহিদুল ফেসবুকে লিখেছেন-

'শাহ আরেফিন টিলা ধসের নিউজ সংগ্রহ করতে যখন যাচ্ছিলাম। তখন কয়েকজন নারী-পুরুষ খিল খিল করে হাসছিলেন । কিন্তু হাসির রহস্য বুঝিনি । কিছুক্ষন পরে নিজের ছবি দেখে বুঝতে পারলাম আসল রহস্য। মূল রহস্যটি ছিল সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের পাউডারে আমি সজ্জিত।'

শহীদুলের ছবিতেও দেখা যায় তাঁর পুরো শরীরজুড়ে ধুলোর আস্তরন। ধুলোয় ঢাকা পড়ে গেছে পুরো মুখমন্ডল।

সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের দুরবস্থার কথা সকলেরই জানা। ভাঙ্গাচোরা এই সড়ক দীর্ঘদিন ধরেই চলাচলের অনুপোযোগী। এনিয়ে বিস্তর আলোচনা হলেও এখনো সংস্কার হয়নি সড়ক। চলমান শুষ্ক মৌসুমে পুরো সড়কই পরিণত হয়েছে ধুলোর রাজ্যে।

সোমবার শাহ আরেফিন টিলা ধসে পাথর শ্রমিক নিহতের সংবাদ সংগ্রহে সিলেট থেকে কোম্পানীগঞ্জে যান কয়েকজন সাংবাদিক। ফেসবুকে তাদের দেওয়া ছবিতে ফুটে ওঠেছে সড়কের এই ভয়ঙ্কর দশার চিত্র।

যমুনা টেলিভিশনের সিলেটের ব্যুরো প্রধান মাহবুবুর রহমান রিপন ভাঙ্গাচোড়া সড়ক দিয় ঝুঁকি নিয়ে যা চলাচলের একটি ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে লিখেছেন, 'বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে রাস্তায় ভ্রমন ২ ঘন্টায় ২০ কিমি'।  
 
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে একনেকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক সংস্কারে প্রায় সাড়ে ৪ শ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়। ইতোমধ্যে সড়ক সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত