সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৩:৩১

এখনো বিস্ময় লাগে, কেন তাকে হত্যা করা হয়েছিল?

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার এক যুগ পূর্ণ হচ্ছে আজ (শুক্রবার)। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের একটি জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন কিবরিয়াসহ ৫ জন।

কিবরিয়ার মতো লোককে হত্যা আজও বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান মামুন।

আজ ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হাসান মামুন লিখেন-

এখনো আশ্চর্য হয়ে ভাবি, তাকে কেন হত্যা করা হ'ল আর অমন নিষ্ঠুরভাবে? মনে পড়ে, বারডেমে মধ্যরাতে আসা তার ক্ষতবিক্ষত দেহের পা দু'খানি শুধু দেখেছিলাম। কে যেন বললেন, উনি আর নেই। একটু পর ডাক্তাররাও এমনটাই ঘোষণা করলেন। কিবরিয়ার এক ঘনিষ্ঠজন ঘৃণাভরে বলে উঠলেন, 'হাউ ম্যানি কিবরিয়াস ক্যান বি প্রোডিউসড বাই দিস সয়েল'!

এখনো বিস্ময় লাগে, কেন তাকে হত্যা করা হয়েছিল? তিনি তো 'সক্রিয় রাজনীতি' থেকে একরকম সরেও গিয়েছিলেন। অনেক বয়সও হয়ে গিয়েছিল তার। শেষদিকে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। কথা বলতে বলতে খেই হারিয়ে ফেলতেন মাঝে মাঝে। ফোন না কেটে কথা শেষ করে দিতেন।

হায়, আজো বের করা গেল না এমন একজন অসাধারণ মানুষের হত্যারহস্য!

এক যুগ পেরিয়ে গেলেও আজও শেষ হয়নি শাহ এ এমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচার কাজ। হবিগঞ্জ থেকে দ্রুত সম্পন্নের জন্য ২০১৫ সালের জুনে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়। তবে এখানেও দেখা দিয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। এখন পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণই শেষ হয়নি। এ পর্যন্ত ৭১ জনের মধ্যে মধ্যে মাত্র ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।

কিবরিয়া হত্যা মামলার সর্বশেষ তদন্তে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের সাময়িক বহিস্কৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের মেয়র জি কে গউছসহ ৩২ জনকে আসামিভুক্ত করা হয়। এর মাঝে আরিফুল হক চৌধুরী ও জি কে গউছসহ ১০ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে, ৮ জন পলাতক ও ১৪ জন কারাগারে আটক আছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত