লুৎফুর রহমান, দুবাই

২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১১:০৩

আরব আমিরাতের জাতীয় প্যারেডে ‘টিম বাংলাদেশ’

২৮ নভেম্বর শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪৪ তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশাল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বিশ্বের সর্বোচ্চ্ দালান দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা এলাকার ব্যস্ততম রাজপথে উড়ে লাল সবুজের পতাকা। বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দুবাই পুলিশ। প্রথমে আমিরাতের সামরিক বাহিনীর সজ্জিত দল থাকে প্যারেডে। এই প্যারেডে বিশ্বের অনেক দেশের অভিবাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশও অংশগ্রহণ করেছে। টিম বাংলাদেশের সার্বিক পরিচালনা করবে দুবাইয়ের অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব, দুবাই। সার্বিক সহায়তায় ছিল এনআরবি কেয়ার ফর গালফ্।

প্যারেডে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল টিম টাইগার। ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশ দলের শক্তিশালী অগ্রযাত্রাকে জানান দিতে এই থিম নির্বাচন করা হয়েছে। প্রতীকী টাইগার, ৫০ মিটার ব্যাট ও বল নিয়ে ক্রিকেট খেলার মতোই প্যারেডে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশি অভিবাসীরা। এ ছাড়া সাতটি গ্রুপে আলাদাভাবে বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে অংশ নিয়েছে টিম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এমন ঝাকঝমক সাজ দেখে ভিনদেশের দর্শকরাও মুগ্ধ হয়েছেন। 


বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীরা সাতটি গ্রুপে ছিল আমিরাত ও বাংলাদেশের পতাকা বহনকারী দল। বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সাজে বৈশাখী দল।  বাউলের দল, প্রতীকী টাইগার বহনকারী দল। এবং বিশেষ আকর্ষণ ছিল ক্রিকেট ব্যাট বহনকারী দল। প্রতিটি গ্রুপের মাঝামাঝি ছিল তিনটি বড় আকৃতির পাতা। পাতাগুলো ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, বাঘ ও আমিরাতের পতাকা সংবলিত। বিশ্বের অনেক দেশের অভিবাসীদের সাথে বাংলাদেশও অংশ নিয়ে মরুর বুকে যেন আবার লাল সবুজের পতাকাকে উজ্জ্বল করলো। আমিরাত সরকারও বাংলাদেশিদের গুরুত্ব দিয়েছে। তাই আমিরাত এর পরের সারিতেই ছিল বাংলাদেশ দল। এরপর একে একে ভারত, আমেরিকা, ফ্রান্স, সৌদি আরব, পিলিফিন সহ নানাদেশ যার যার আপন সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে দুবাইয়ের রাজপথে। কেউ রাস্তায় নাচ করেছে, কেউ নানা ক্রীড়া ও শিল্প প্রদর্মন করেছে আবার কেউ ঢঙ সেজেছে রঙ গায়ে।


বাংলাদেশের হয়ে প্যারেডে অংশ নেওয়া অভিবাসীরা ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষিকা, কমিউনিটি আর রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, সংস্কৃতি কর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের বাংলাদেশি অভিবাসীরা অংশ নেয়।  টিম বাংলাদেশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের সভাপতি নওশের আলী। অন্যতম সমন্বয়কারী ও সার্বিক সহায়তাকারী হিসেবে ছিলেন এনআরবি কেয়ার ফর গালফের প্রধান নির্বাহী রফিকুল্লাহ গাজ্জালী। তারা জানিয়েছেন, দুবাই সরকারের কাছে পজিটিভ এক বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের এই অনন্য আয়োজন। যখন আমিরাতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ এবং অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় চলছে এমন সময়ে এরকম কাজে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন তারা। তাই অনেকে বলেছেন এ যেন, জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়। টিম বাংলাদেশের  জুলফিকার আলী খান বলেন, প্যারেডে অংশ নিতে  বাংলাদেশের অসংখ্য লোক রেজিস্ট্রেশন করলেও দুই শতাধিক অভিবাসী বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়েছে প্যারেডে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত