জুয়েল রাজ, যুক্তরাজ্য

১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৩:৩০

লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উন্মোচন

বাঙালির বিজয়ের মাসে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের বাইরে প্রথমবারের মত লন্ডনে স্থাপিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এর সিডনি স্ট্রিটে লন্ডন মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফছর খান সাদিকের বাসার সামনে তাঁর ব্যাক্তিগত উদ্যেগে ও অর্থায়নে স্থাপিত হয়েছে ভাস্কর্যটি।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যটি উন্মোচন করেন যুক্তরাজ্য সফররত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি।

উন্মোচন অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, আজকে লন্ডনের মাটিতে একটি ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম হল। এটি এই প্রজন্মের জন্য একটি ইতিহাস। এই দুঃসাহসিক উদ্যোগের জন্য আফছর খান সাদিককে ধন্যবাদ।

উদ্যোক্তা আফছর খান সাদিক বলেন, আমার বহুদিনের লালিত স্বপ্নের আজ বাস্তবায়ন হয়েছে।  ব্রিটেনের মানুষ ও নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই শ্রদ্ধা জানাতে ভীড় করছেন। ফ্রান্সের দু'জন এমপি এসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেছেন।

তিনি জানান, ভবিষ্যতে তাঁর বাসাটিও বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামের জন্য তিনি দান করে দেবেন। স্থানীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ভারত থেকে ভাস্কর্যটি নিয়ে আসেন বলে জানান তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোঃ নাজমুল কাওনাইন, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা সামসুদ্দিন খান, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, হাইকমিশনের প্রেস সচিব নাদিম কাদির, আওয়ামীলীগ নেতা  আলতাবুর রহমান মুজাহিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সায়েদ আহমদ সাদ, কাউন্সিলর রাবিনা খাতুন, কাউন্সিলর সাবিনা আকতার, নাজিম উদ্দিন, আনসার আহামেদ উল্লাহ সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে কেমডেনের ব্রাউনসউইক পার্ক স্কোয়ার গার্ডেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একটি স্ট্যাচু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ক্যামডেনে বঙ্গবন্ধুর স্ট্যাচু নির্মাণের জন্য কাউন্সিলের কাছে জায়গা চেয়ে প্রস্তাব করেছিলেন তৎকালিন হাইকমিশনার ডক্টর এম সাঈদুর রহমান খান। এর বাজেট ধরা হয়েছিলো প্রায় আড়াইশ হাজার পাউন্ড। কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছিলো। গত ১ মার্চ কাউন্সিলের প্ল্যানিং  কমিটির মিটিংয়ে হাইকমিশনের প্রস্তাবটি এজেন্ডা হিসাবে তোলা হয়। প্ল্যানিং কমিটির মিটিং চলাকালেই স্থানীয় কিছু বাঙালির  বিরোধীতার কারণে এজেন্ডা থেকে সেই প্রস্তাবটি উঠিয়ে নেয়া হয়। আপত্তি জানানো অধিকাংশই বিএনপি জামায়াতের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। তবে নির্মাণের পক্ষে স্থানীয় কমিউনিটির কাছ থেকে প্রায় ২শ ৪০টি সাপোর্ট লেটার এসেছিলো কাউন্সিলে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত