সিলেটটুডে ডেস্ক

১৫ জানুয়ারি, ২০২০ ২০:০৩

আগামী কলকাতা বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হবে

আগামী বছর (২০২১ সালে) কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলা বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করা হবে।

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার সাধারণ সম্পাদক ও গ্লিড প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার সুধাংশু শেখর দে জানিয়েছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ’ পালন উপলক্ষে মেলা কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর বাসসের।

এদিকে আর মাত্র দু’সপ্তাহ পরে শুরু হতে যাচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। এ বছরের বই মেলার ফোকাল থিম হবে ‘কান্ট্রি রাশিয়া’। ইতোমধ্যে থিম কান্ট্রির লোগো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের বই মেলা ভারত ও রাশিয়া-দুদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি আদান প্রদানের আঙ্গিনা হয়ে উঠলেও বাংলাদেশকেও বেশ গুরুত্ব দেয়া হবে।

আগামী ২৯ জানুয়ারি বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণ সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সুধাংশু শেখর দে বলেন, কোলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলায় প্রতিবেশী দেশ হিসেবেই শুধু নয়, বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্প, মানসম্মত লেখক, প্রকাশক, কারুকলা ও সংস্কৃতিসমৃদ্ধ প্রতিক্ষেত্রেই বাঙালি মনষ্কতার ঐতিহ্য বহন করে। এ কারণেই বইমেলার একদিন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ থাকবে।

এদিন বাংলাদেশের সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, কবি লেখকদের মূল্যবান বক্তৃতা-আলোচনা ছাড়াও লোকজ শিল্প ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কলকাতাস্থ উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো. সামছুল আরিফ জানিয়েছেন, এবছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার প্যাভিলিয়নটি শান্তিনিকেতনে অবস্থিত ‘বাংলাদেশ ভবনের’ আদলে নির্মিত হবে এবং সামনে থাকবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ৪৫টিরও বেশি বুকস্টল থাকবে। এই প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশি গ্রন্থের প্রচার ও বিক্রয় ব্যবস্থা নিজস্ব উদ্যোগেই করা হয়।

এবছর ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম বার্ষিকী পালনেরে জন্যেও একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা থাকবে মেলায়।

মেলায় স্বাগতিক ভারত ছাড়াও ১১টি দেশ অংশ নেবে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, জাপান, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, গুয়েতেমালা, মেক্সিকো, পেরু ও ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ মেলায় অংশ গ্রহণ করবে।

কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চলবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত