২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৯:৫৪
নির্মল নীলাকাশ, অমল ধবল মেঘের ভেলা আর শুভ্র কাশবনের নাচন- এসব নিয়েই শরতের মাতামাতি। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে প্রকৃতিতে আগমন শুভ্র শরতের।মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরির মাঝে প্রকৃতিতে শরৎ নিয়ে আসে এক নৈসর্গিক মুগ্ধতা। শুভ্র শিউলির মনমাতানো ঘ্রাণ আর দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠের নিরন্তর ঢেউয়ের দোলা সৃষ্টি করে এক নতুন দৃশ্যপট। প্রকৃতিতে চলে অপরূপ রূপের লীলাখেলা। ঋতুবৈচিত্র্যের দেশে শরতের আগমনী বার্তা ইট-পাথরের নগরে বোঝার উপায় নেই। আর বোঝা গেলেও নগরজীবনের ব্যস্ততায় উৎসব আয়োজন করা হয়ে ওঠে না। তবুও কিছু আয়োজন নগরবাসীকে এখনও জানান দিয়ে যায়- ঋতুচক্রের আবর্তে প্রকৃতিতে এসেছে বর্ষা, বসন্ত কিংবা শীত। তেমনি একটি আয়োজন 'শরৎ উৎসব।'
শুক্রবার শ্রুতি সিলেট আয়োজনে কবি নজরুল অডিটোরিয়াম এ অনুষ্ঠিত হয় যা নগরবাসীর মনে এনে দেয় অপার প্রশান্তি। নীল-সাদা শাড়ি, খোঁপায়-হাতে ফুলের সাজ আর নাচে-গানে চলে শরৎবন্দনা।
শ্রুতি সিলেটের আয়োজনে শরৎ উৎসবের মূল আয়োজনে পরিবেশন করা হয় গান-কবিতা-নৃত্য। ছিল 'শরৎ কথন' পর্ব। এতে ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশের প্রকৃতির সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
শ্রুতি সিলেটের সদস্যসচিব সুকান্ত গুপ্ত তার স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সহকারী হাইকমিশনার এল কৃষ্ণ মূর্তি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আসলাম উদ্দিন।
শরৎ কথন পর্বে অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ আরশ আলী, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু, সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী ও শ্রুতি সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত।
তারা বক্তব্যে বলেন সোনালি রোদ্দুরের ঝিলিমিলি আর রাতের জ্যোৎস্টম্নায় মাতোয়ারা মন। নদীতীরে বনের প্রান্তে অপরূপ শোভা ছড়ায় শুভ্র কাশফুল। শরতের কাশফুলে মুগ্ধ হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুস্কর।
অর্ধদিবস ব্যাপী আয়োজনে সমবেত নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি পরিবেশন করেন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, গীতবিতান বাংলাদেশ, নৃত্যশৈলী, ছন্দনৃত্যালয়, সুরেরভূবন এবং একক সংগীত পরিবেশন করেন রানা কুমার সিনহা, শামীম আহমেদ, গৌতম চক্রবর্তী, বাউল সূর্যলাল, ইকবাল শাঁই, সোনিয়া রায়, লিংকন দাশ প্রমুখ।
আপনার মন্তব্য