নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:৪৮

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বিষয়ক প্রতিবেদন প্রত্যাহার

'লাং মেটাস্টেসিস’ ক্যান্সারে আক্রান্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মো. অনিক ইসলামকে আর্থিক সহায়তা বিষয়ক প্রতিবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরে বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী অনিক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এরপর অনিক ইসলামের স্ত্রী মাশিয়া মনজু সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরের ইমেইলে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।

ইমেইলে তিনি বলেন, চিকিৎসা সহায়তার এই আবেদনটি তারা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ আইপি ও অন্য কিছু গ্রুপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে আগ্রহী।

চিকিৎসার বিষয়ে সংবাদপত্রের মাধ্যমে সর্বসাধারণের কাছে সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি তারা জানতেন না বলে দাবি করেন।

অনিক ইসলামের পরিবারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

উল্লেখ্য, মো. অনিক ইসলাম শাবিপ্রবির ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০১-২০০২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত বছর কিডনিতে টিউমার ধরা পড়ে অনিকের। পরে জরুরি ভিত্তিতে সার্জারি করে টিউমারসহ তার বাম কিডনি ফেলে দেওয়া হয়। তারপর গত বছরের জুলাই মাসে তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। বর্তমানে চেন্নাইয়ের এপোলো হসপিটালের অনকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. টি. রাজার তত্ত্বাবধানে ইমিউনিটি থেরাপি শুরু করছেন তিনি।

চিকিৎসার বিষয়ে অনিক ইসলাম প্রত্যাহার করা প্রতিবেদনে বলেছিলেন, এক বছর ধরে আমার সার্জারি, ফলো-আপ চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে। এখন আবার ইমিউনিটি থেরাপি দিতে হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের সঞ্চয়ের সব শেষ হয়ে গেছে। তাই কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মোট ১৬টি ডোজ ইমিউনিটি থেরাপি নিতে হবে। এই ডোজগুলোর ব্যয় অনেক বেশি। তাতে প্রায় ১ কোটি টাকা লাগবে। এর মধ্যে প্রথম ৬টি ডোজের টাকা পরিবার জোগাড় করেছে। এখন বাকি ১০টি ডোজের জন্য ৬৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ক্যান্সারের চিকিৎসার মতো এত ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ বহন করা কঠিন। তাই তার চিকিৎসায় সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন অনিক, তার পরিবার এবং সহপাঠীরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত