সিকৃবি প্রতিনিধি

২০ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ১৫:২৭

সিকৃবিতে দৃষ্টিনন্দন ‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’

বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন শহিদ মিনারগুলোর একটি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার। নতুন ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদ এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের মাঝখানে টিলার উপর লেকসাইডের কোল ঘেষে শহিদ মিনারটি অবস্থিত। সিলেট শহর থেকে বিভিন্ন মানুষ অর্ধসমাপ্ত এ শহিদ মিনারটি দেখতে সিকৃবি ক্যাম্পাসে আসেন।

লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহকারি অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাশ শহিদ মিনারটির নকশা করেছেন। তিনি এর নাম দিয়েছেন 'সূর্যালোকে বর্ণমালা'। সকালে সূর্যালোকে মিনারটি ছায়াচ্ছন্ন আর অস্পষ্ট থাকে এবং দিন পরিক্রমায় সূর্যের আলোয় ক্রমশ এটি আলোকিত ও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এদেশের বীর সন্তানরা এখানে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁরা যদি সূর্য সন্তান হন, তবে দিনের প্রদক্ষিনে আলো-আঁধারের এই খেলা যেন সূর্যের সঙ্গে তার সন্তানদের অনির্বচনীয় কথোপকথন। এই মিনারের শিরোনাম তাই 'সূর্যালোকে বর্ণমালা'।

আসলেই যেন বর্ণমালারা রোদ পোহায় এই শহিদ মিনারে। শক্ত মেরুদন্ডে ভাষা শহিদরা স্মৃতির বর্ণ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এখানে। শহিদ মিনারটির দূর থেকে কিছু বর্ণমালা খুব স্পষ্ট দেখা যায়। কাছে আসলে দেখা যায় কুঠুরিতে আরো ছোট ছোট বর্ণের সমাহার।

জাতীয় দিবস উদযাপনসহ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান এ শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়।

সিকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম মোল্লা বলেন, “শহিদ মিনারে আসলে যেন প্রাণ পাই। যে ভাষার জন্য বাঙালি রক্ত দিয়েছে, সে ভাষা সৈনিকদের কথা ভেবে এখানে মাথা নুয়ে আসে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সারা ক্যাম্পাস মিছিল করে আমরা এখানে ফুল দিতে আসি।”

সিকৃবির কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, “ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু এই শহিদ মিনার। এই বেদীতেই আমরা আয়োজন করি গানের আড্ডা কিংবা কবিতার আসর।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত