রাবি প্রতিনিধি

১১ জুলাই, ২০১৭ ১৭:২৮

রাবিতে সাংবাদিককে মারধর: অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কর্মরত ইংরেজি ডেইলি স্টার প্রতিনিধি আরাফাত রহমানকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর আরাফাত নিজেই এ অভিযোগপত্র দেয়।

এছাড়াও অভিযোগপত্রের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়।

ভুক্তভোগী আরাফাত রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মারধরকারীদের মধ্যে ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান কানন, আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বিজয়, ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহমেদ সজীব এবং আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান লাবণকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে আরাফাত।

এছাড়াও ছবি দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ, ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন চন্দ্র রায় এবং ভাষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানিউর রহমান সানিকে মারধরকারী হিসেবে শনাক্ত করতে পেরেছে বলে উল্লেখ করা হয়। তারা সবাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

অভিযোগপত্রে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

আরাফাত রহমান বলেন, ছবি দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় আমি তাদেরকে চিনতে সক্ষম হয়েছি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

অভিযোগপত্র পেয়েছে কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ’আমি আজ (১১ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগপত্র পাইনি। কাল অফিসে গিয়ে দেখতে হবে।’

তবে অভিযোগপত্র হাতে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি অভিযোগপত্রের অনুলিপি পেয়েছি।’

এর আগে বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একটি মানববন্ধন থেকে অভিযুক্ত মারধরকারী শিক্ষার্থীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দেশ ট্রাভেলস-এর বাস ভাঙচুর করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আল হাসান লাবণ, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাননসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী। ওই ঘটনার ছবি তোলায় সাংবাদিক আরাফাতকে বেধড়ক মারধর করে তারা।

ওইদিন রাতে নগরীর মতিহার থানায় সাংবাদিক আরাফাত বাদী হয়ে চার ছাত্রলীগ নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন মাহমুদুর রহমান কানন, সাইফুল ইসলাম বিজয়, আহমেদ সজীব ও আবিদ আহসান লাবণ।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত