রাবি প্রতিনিধি

০৭ মার্চ, ২০১৮ ০০:৪৪

রাবিতে শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের সামনে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

মারধরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী মাহমুদুর রহমান কানন।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর নাম মঈনুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং অনুশীলন নাট্যদলের কর্মী।

মঈনুল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ৮নং ওর্য়াডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঈনুল বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের সামনে আমি আর আমার বন্ধু বসেছিলাম। সেখানে কেন বসে আছি জানতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝলক সরকারসহ কয়েকজন। তখন কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমাকে মারধর করে ঝলক সরকারের সঙ্গে থাকা মাহমুদুর রহমান কানন। এসময় আমার চোখে কিল ঘুষি মারে কানন।’

ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান কানন মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। সেখানে কথা কাটাকাটি দেখে আমি মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এসময় আমার ছোট ভাইদের চড়-থাপ্পর দিয়ে সমাধান করে দিয়েছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখছি। সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হলে নেওয়া হবে।’

অনুশীলন নাট্যদলের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, ‘আমার সংগঠনের কর্মীর যদি দোষ থেকে থাকে তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ছাত্রলীগের উচিত হবে যে মারধর করেছে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’

গত বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাস ভাংচুরের ছবি তোলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দ্য ডেইলি স্টারের সাংবাদিক আরাফাত রহমানকে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান কানন। ওই ঘটনায় কাননকে বহিষ্কার করা হলেও কয়েক মাস পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত