নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুলাই, ২০১৫ ০২:১২

শাবি উপাচার্যের নিয়োগের ক্ষমতা কেড়ে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আমিনুল হক ভূইয়াকে রুটিন দায়িত্ব ছাড়া নিয়োগ, নতুন ব্যবস্থা চালু বা কাউকে নতুন কোনো পদে দায়িত্ব না দিতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

ঢাকায় সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সিলেটের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষকদের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে উপাচার্যকে শিক্ষামন্ত্রী ডেকে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

উপাচার্য আমিনুল হকের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকরা। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা রয়েছে।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ ও প্রশাসন পরিচালনায় ‘অযোগ্যতার’ পাশাপাশি নিয়োগে অনিয়ম ও আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবিতে গত ১৩ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করে আসছে সরকার সমর্থক ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’।

আন্দোলনের অংশ হিসাবে গত ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭টি প্রশাসনিক পদ ছাড়েন ৩৫ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালও ছিলেন।

আন্দোলনের মধ্যে আমিনুল হক ভূইয়া ২৩ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠক ডেকে দুই মাসের ছুটিতে গেলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসের অধীনে সেই ৩৫ জন কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।

গত ২২ জুন ছুটি শেষ হওয়ার আগে হঠাৎ নিজের কার্যালয়ে ফিরে উপাচার্য নতুন প্রক্টরিয়াল কমিটির অনুমোদন দিলে প্রতিবাদে ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

এরপর প্রতিদিন উপাচার্যের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

তখন থেকে আর কার্যালয়ে যাননি উপাচার্য। তবে শিক্ষকদের এই আন্দোলন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে তাদের দাবিতে নত না হওয়ার ঘোষণা রয়েছে তার।

মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম, অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, অধ্যাপক মো. ইউনুস, অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. আব্দুল গণি, অধ্যাপক সৈয়দ হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক দীপেন দেবনাথ ও মো. ফারুক উদ্দিন।

মন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকদের পৌনে তিন ঘণ্টার বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এ এস মাহমুদ এবং অতিরিক্ত সচিব হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত