মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন

২৮ মে, ২০২০ ১৪:৪৬

করোনায় পজিটিভ হলেও ❛বি পজিটিভ❜

সাহস আর উৎসাহ দিতে ইতিবাচক উপদেশ ❛বি পজিটিভ❜, কিন্তু কোভিড-১৯ এ ❛পজিটিভ❜ যে আতঙ্ক ছড়ায় তা অস্বীকার করা যাবেনা।

কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো মনের জোর ও ভালোবাসার শক্তি। কোনোভাবেই আতঙ্কিত হওয়া যাবে না, মনে জোর রাখতে হবে। আতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, আর মনের জোর রোগ ঠেকিয়ে রাখার কাজটি করে। রবীন্দ্রনাথ তো সঙ্কটে ম্রিয়মাণ না হয়ে মনে শক্তি ধরে নিজেকে জয় করতে বলেছেন- এটা বাস্তব, রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে নিজে ‘পজিটিভ’ থাকা বা মনের জোর ধরে রাখাটা জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজের মধ্যে একটি।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই একা বা আইসোলেশনে থাকতে হবে। কিন্তু পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন এবং সহকর্মীদেরকে প্রতিনিয়ত সাহস জুগাতে হবে। ভেঙে পড়া থেকে ওঠে দাঁড়াতে সবসময় মনকে চাঙা রাখতে হবে, মনে করিয়ে দিতে হবে সে একা নয় সবাই তার সাথে আছেন। আর এই বোধটাই আসলে মনের জোর সবচেয়ে বেশি বাড়ায়।

রবীন্দ্রনাথ গানে বলেছেন :
একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি,
তাই দিয়ে মনে মনে, রচি মম ফাল্গুনি’।

ঔষধ হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে তাদের দেওয়া ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তায় খেতে হবে প্রচুর পানি ও ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, সাথে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার। আদা ও লবঙ্গ মিশিয়ে গ্রিন-টি খেতে পারেন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরম পানির গড়গড়া ও ভাপ নেওয়া জরুরি। কোনোভাবেই পানিশূন্যতা যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ঠাণ্ডা সবকিছুই নিষিদ্ধ।

যারা সুস্থ আছেন, কোভিড-১৯-এ পজিটিভ নন, তারাও সাবধানতার জন্য এসব মেনে চলতে পারেন। তবে লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে এগুলো প্রয়োজনীয় তো বটেই।

পরিশেষে বলব, আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। নিজে সুরক্ষিত থাকুন, পরিবারের সবাইকে সুরক্ষিত রাখুন, সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।

মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন : সহকারী রেজিস্ট্রার (জনসংযোগ), লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত