বিনোদন ডেস্ক

২৫ আগস্ট, ২০২১ ২১:৫৩

পরীমণির সদস্যপদ স্থগিতাদেশের বিরোধিতা করেছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। এই দুঃসময়ে তার সমর্থনে অনেকেই কথা বলছেন। রাজপথে মানববন্ধন করে পরীর মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন শোবিজ জগতের অনেকে। কিন্তু পাশে নেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। গ্রেপ্তার হওয়ার মাত্র তিন দিনের মাথায় পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করে দেয় সমিতি।

পরীমণি গ্রেপ্তারের পরই একটি সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সংগঠনটির নেতারা। এ নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে- মামলায় অভিযুক্ত এই সমিতির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু পরীমণির সদস্যপদ ঠিকই স্থগিত করা হয়েছে।

এ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, 'এ সিদ্ধান্ত একা নেওয়ার কেউ নন তিনি। পরীমণির বিষয়ে সিদ্ধান্তটি কমিটির ২১ জন সদস্য মিলে নিয়েছেন। যাদের মধ্যে আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল রানার মতো চলচ্চিত্রের জ্যেষ্ঠ শিল্পীরাও রয়েছেন।'

কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চনের ভাষ্যমতে, পরীমণির সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তার সঙ্গে কথা বলা হলেও এ বিষয়ে সমিতি তার মতামতকে গুরুত্ব দেয়নি।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, 'ওদের জিজ্ঞেস করেন, ইলিয়াস কাঞ্চন কি বলেছিল? আমি কিন্তু সদস্যপদ স্থগিতের ব্যাপারটি নিষেধ করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, একজন শিল্পীর নামে মাত্র অভিযোগ এসেছে। কোনো কিছুই প্রমাণিত হয়নি। অভিযোগ যখন প্রমাণিত হয়নি, কি কারণে তোমরা সদস্যপদ স্থগিত করবে? তখন তারা আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে, আমরা তো স্থায়ীভাবে করছি না। সাময়িকভাবে করছি। এর জবাবে আমি বলেছিলাম, এমন স্থগিত করার কি দরকার! স্থগিত করাটা ঠিক হবে না। সংবিধান অনুযায়ীও ঠিক হবে না। নিয়মানুযায়ী একজন শিল্পীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তাকে নোটিশ করা যেতে পারে। সতর্ক করা যেতে পারে। কিন্তু সদস্যপদ স্থগিত করা মোটেও ঠিক হবে না।'

এ অভিনেতা বলেন, 'আমি বলতে চাচ্ছি, স্থগিতের বিষয়ে আমার মতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমাকে ওরা বলেছিল, অন্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে। এখন অন্যরা কি বলছে, তা তো আমি বলতে পারব না।'

এ বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকেও একই মত দিয়েছেন বলে জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, 'সংবাদ সম্মেলনের আগে মিশা সওদাগর আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে। আমি তখন তাকে বলেছি, সদস্যপদ স্থগিতের ব্যাপারটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।'

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। ৫ আগস্ট র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। এরপর তৃতীয় দফায় রিমান্ড শেষে শনিবার (২১ আগস্ট) পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত