সিলেটটুডে ডেস্ক:

১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৩১

মানহানি মামলা করব: তাহসান

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলার অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিললে যেকোনো সময় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।

সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন। মামলার অন্যতম আসামী দেশের জনপ্রিয় তারকা তাহসান খান এই মুহুর্তে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। বেশ কয়েকটি কনসার্টে অংশ নিতেই সেখানে অবস্থান করছেন তিনি।

মামলার বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার বিষয়ে জেনেছেন তিনি। এ বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথাও বলছেন।

তাহসান বলেন, 'প্রচারক কখনো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক দায়ভার নেবেন না। সারাবিশ্বে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠানের লাখ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর রয়েছে। তারা তো ওইসব কম্পানির সমস্ত দায়ভার নিয়ে বসে নেই। কোম্পানির যখন সমস্যা দেখা যাবে তখন সরে আসবে। প্রচারণার দায়িত্ব পালন করা কোনোভাবেই অপরাধী হতে পারে না।'

ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়া নিয়ে তাহসান বলেন, আমি যে বছর জানুয়ারিতে চুক্তিবদ্ধ হই তার আগের বছর জানুয়ারিতে আমাকে অ্যাপ্রোচ করা হয়। আমি যখন ডিনাই করছিলাম তখন তারা আমাকে বললো, 'আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আছি। আমরা র‍্যাবের চলচ্চিত্র অপারেশন সুন্দরবনের সঙ্গে আছি। আমরা আইসিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি... তাহলে কেন ডিনাই করছেন?

ইভ্যালির সাথে শেষ পর্যন্ত চুক্তি হয়েছিল তাহসানের। তিনি বলেন, 'আমি শেষ পর্যন্ত চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু সেই চুক্তি অনুযায়ী কাজ করিনি। তার আগেই মে মাসে আমি চুক্তি টার্মিনেট করি। চুক্তি অনুযায়ী আমার বিজ্ঞাপন করার কথা ছিল। কিন্তু আমি বিজ্ঞাপন করিনি। এর আগে দুটো লাইভ করে অনেক কমপ্লেইন পেয়েছি, আমার কাছের মানুষেরা কমপ্লেইন করেছে। যার ফলে আর অগ্রসর হইনি। চুক্তি বাতিল করেছি।'

এদিকে জনপ্রিয় এই গায়ক মানহানি মামলা করবেন জানিয়ে বললেন, 'গত ৭ মাস ধরে মানসিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আর কিছু পত্রিকার চটকদার শিরোনাম দেখে অবাক হয়েছি। মামলা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার রাতে এই তথ্য প্রকাশ হলো কেন? এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না জানি না।'

তাহসান বলেন, যে কোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার বা নজরদারিতে বলতে কী বোঝায়? হ্যাঁ যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাদের তো একটা নজরে রাখতেই হয়। তাই বলে যে কোনো চটকদার মুখরোচক শিরোনাম করে কাটতি বাড়ানোর কোনো অর্থ হয় না। যা হবে আইনগতভাবে হবে। একটা মামলা হয়েছে সেটার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে যদি আমাদের দোষ না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের তো কোনো সমস্যা হবে না। আর তদন্ত করে পেলে তখন যেটা আইনত হবে তাই হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত