সিলেটটুডে ডেস্ক:

২১ ফেব্রুয়ারি , ২০২২ ২১:১৪

‘আপনি ভালো হয়ে যান’, জায়েদ খানকে নিপুণ

চিত্রনায়িকা নিপুণ নায়ক জায়েদ খানের উদ্দেশে বলেছেন, আপনি সারাদিন বলেন, আমি নাকি আইন লঙ্ঘন করছি। এখন যে আপনি ফেক আইডি দিয়ে টাকা খরচ করে কিছু মানুষকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, এটি কি আইনের লঙ্ঘন নয়? আপনি ভালো হয়ে যান। আগামীকাল শুনানি আছে, শুনানিতে যা হবে, তা আমি মেনে নেব। তার আগে এসব খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকুন।

মঙ্গলবার বিকেলে নবনির্বাচিত সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ইমনের শপথ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নিপুণ।

নিপুণ অভিযোগ করেন, ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে নানাভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসব ফেক আইডি ও আইডি থেকে মন্তব্যকারীদের টাকাপয়সা সরবরাহ করে এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন জায়েদ খান ও জয় চৌধুরী।

তিনি বলেন, হঠাৎ এক সপ্তাহ ধরে কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল, কয়েকটি ফেসবুক আইডি থেকে নানাভাবে আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। গালমন্দ, আজেবাজে মন্তব্য করা হচ্ছে।

নিপুণ আরও বলেন, এসব আইডির মন্তব্যের ঘরের লেখার আচার-আচরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তারা সব জায়েদ খান ও জয়ের লোক। আমি নিশ্চিত, তাদের দিয়ে এসব নোংরামি করাচ্ছেন এই দুজন। হঠাৎ করেই এক সপ্তাহে জায়েদ খানের এত ভক্ত তৈরি হয়েছে, আমার বিশ্বাস হয় না। এই দুজন টাকাপয়সা খরচ করে ভুয়া আইডি থেকে কিছু মানুষকে আমার পেছনে লাগিয়ে দিয়েছে।

এক প্রশ্নে নিপুণ বলেন, আমি শিওর হয়েই বলছি। কারণ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে এসব আইডির আসল রহস্য আমি বের করে ফেলেছি। এসব আইডি ফেক। জায়েদ খান ও জয় এসব আইডি থেকে কাজ করাচ্ছেন। এটা এখন স্পষ্ট।

জয়ের উদ্দেশে নিপুণ বলেন, জয়, চলচ্চিত্রে তোমার আগমন বেশি দিন হয়নি। এসব খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকো। ছোট ভাই, তোমার উচিত হবে সিনেমা করার দিকে নজর দেওয়া।

অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবেন? এ ব্যাপারে নিপুণ বলেন, অবশ্যই নেব। প্রাথমিক কাজ তো করেই রেখেছি। এখন যদি তারা এসব বিভ্রান্তমূলক কাজ, এমন আজেবাজে কাজ বন্ধ না করেন, তাহলে আমাকে বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে হবে।

তবে অভিযোগের ব্যাপারে জয় চৌধুরী বলেন, নিপুণ আপার এসব অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন। তিনি যদি মনে করে থাকেন, আমি নানাভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছি, তাহলে সেটা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারতেন অথবা সমিতির প্রেসিডেন্টের কাছে লিখিত দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি হুট করে আমার বিরুদ্ধে ভিডিওর সামনে বলে দিলেন। আমিও তো একজন সমিতির নির্বাচিত ক্যাবিনেট মেম্বার। আমার সম্মান নিয়ে তিনি এভাবে খেলতে পারেন না। তিনি যদি নিজেকে সেক্রেটারিই মনে করেন, তাহলে তার উচিত ছিল একজন নির্বাচিত ক্যাবিনেট মেম্বারের সম্মান রক্ষা করা। কিন্তু তা তিনি করেননি। এভাবে তো সমিতির ৪২৮ সদস্যের নেতা হওয়া যাবে না।

খবর সমকালের 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত