সিলেটটুডে ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:০৯

পরীমণির পাশে তসলিমা

বিয়ের মাত্র এক বছরের মাথায় ভাঙতে বসেছে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত তারকা দম্পতি পরীমণি ও শরীফুল রাজের সংসার। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেই জানিয়েছেন পরীমণি। এরপর তিনি সাংবাদিকদের জানান, শরীফুল রাজের সঙ্গে আর এক বাসায় থাকছেন না তারা। শিগগিরই পাঠাবেন বিবাহবিচ্ছেদের চিঠি।

বিষয়টি নিয়ে ঢালিউড পাড়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। নেটিজেনদের অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করছেন পরীমণিকে নিয়ে। তবে, এই সময়ে তার পক্ষে দাঁড়ালেন পরবাসে থাকা নারীবাদী লেখক তসলিমা নাসরিন।

তসলিমা নাসরিন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “পরীমণির জীবনটা অনেকটা আমার জীবনের মতো। মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে, আঘাত পায়, কাঁদে, সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে, আবার আঘাত পায়, আবার কাঁদে, আবার সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে...। এ যেন একটা চক্রের মতো। সৎ, সরল এবং সংবেদনশীল মানুষই এই চক্রের মধ্যে পড়ে যায়।”

তিনি আরও লিখেন, “পরীমণি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। ও যদি মাথা উঁচু করে, মেরুদণ্ড সোজা করে একা বাঁচতে না পারে, তবে আর পারবে কে? আমি পেরেছি। আরও অনেকেই পেরেছে। নিজেকে ভালোবাসলে পারা যায়। আমাদের তো এই দোষ, আমরা নিজেকে ভালোবাসি না। জগতের আর কোনও প্রাণী নয়, এই আমরা মেয়েরাই আমাদের আততায়ীকে ভালোবেসে তার সঙ্গে এক ঘরে, এক ছাদের তলায় বাস করি!”

তবে, এবারই প্রথম নয়; পরীমণি ইস্যুতে এর আগেও কি-বোর্ডে আঙুল রেখেছেন তসলিমা নাসরিন। বোট ক্লাব কাণ্ডের সময়ও পরীমণির পক্ষে বেশ সরব থাকতে দেখা যায় তসলিমা নাসরিনকে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছেন, “হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।”

উল্লেখ্য, এ বছরের ১০ জানুয়ারি পরীমণি ও রাজ জানান তারা গত বছরের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেছেন। একই দিনে ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত