সিলেটটুডে ডেস্ক:

২৪ মে, ২০২৩ ২২:৩৯

অভিনেত্রী শিরিন শিলাকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন, ‘পা ধরে মাফ’ চাইল সেই ছেলে

সেই ঘটনা। পাশের ছবিতে শিরিন শিলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা

রাজধানীর অদূরে ধামরাইয়ের একটি এলাকাতে ‘দ্য রাইটার’ সিনেমার শুটিং করছিলেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। সেসময় এক কিশোর নিজেকে এতিম দাবি করে নায়িকাকে জড়িয়ে ধরে এবং শেষদিকে চুম্বন দেয় যা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নেহাত শিশু ভেবেই তাকে বুকে স্থান দেন, জড়িয়ে ধরেন বলে জানান শিরিন শিলা। কিন্তু এমন কিছু ঘটবে সেটা ভাবেনও নি তিনি। পরে খোঁজ নিয়ে কিশোরটি সম্পর্কে যখন জানতে পারলেন সে রাতে আর ঘুমাতে পারেননি নায়িকা।

এমন ঘটনায় জানালেন, ছেলেটি একজন রিকশাচালক। সম্প্রতি বিয়েও করেছে। শিরিন শিলা বলেন, ‘সে বিবাহিত। ৯ দিন আগে বিয়ে করেছে। সে আমাকে যা যা বলেছে সব মিথ্যা বলেছে।’

শিরিন ফেসবুকে আরও একটি ভিডিও আপলোড দেন। যেখানে দেখা যায়, ছেলেটি শিরিন শিলার পা ধরে ক্ষমা চাইছে। শুটিং ইউনিটের কেউ কেউ তাকে পুলিশে দেওয়ার কথাও বলছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শিরিন শিলা বলেন, ‘ছেলেটিকে আমি একজন ছিন্নমূল শিশু ভেবে মমতা দেখিয়েছিলাম। কিন্তু সে এটার অপব্যবহার করেছে। বিষয়টি ভেবে সারা রাত আমি ঘুমাতে পারিনি। গতকাল ভোরে উঠেই তার খোঁজ করতে শুরু করি। যেহেতু ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। সেহেতু সবাই তাকে চিনে ফেলেছে। তার বাসায় গিয়ে দেখি, তার স্ত্রী রয়েছে। মা রয়েছে। অথচ সে আমাকে বলেছিল সে তার মাকে দেখেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা আমাকে খুবই ধাক্কা দিয়েছে। আমি ভাবতে পারিনি মানুষ এভাবেও প্রতারণা করে। তাকে পুলিশে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছি।’

অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘সে আমাকে আরো জানায়, সে নাকি কখনো গাড়িতে ওঠেনি। এ কারণে আমার সঙ্গে গাড়িতে উঠবে। এই বলেই আমাকে ফের জড়িয়ে ধরে হঠাৎ গালে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। তার এ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যাই আমি। পরে শুটিংয়ে থাকা লোকজন তাকে সরিয়ে নিলে আমি গাড়িতে করে ফিরে আসি।’

শিরিন শিলার এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। নানা প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক সরগরম হয়ে ওঠে।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে শিরিন শিলা বলেন, “সকালে ‘দ্য রাইটার’ সিনেমার আউটডোরে শুটিং করার জন্য ধামরাইয়ের একটি এলাকায় যাই। শুটিং স্পটে উপস্থিত একটি ছেলে আমাকে দেখে এগিয়ে আসে এবং কথা বলতে চায়। আমি তাকে কাছে টেনে কথা বলি। ওই ছেলে তখন আবেগী কণ্ঠে আমাকে বলে, তার নাকি মা-বাবা নেই; তাকে কেউ ভালোবাসে না। শিলা বলেন, ওই ছেলের এ কথায় তার প্রতি মায়া জন্মে আমার। এ কারণে তার কাঁধে হাত রেখে তাকে আদর করি। তখন সে বলে তার খিদে লেগেছে, তাই আমি তাকে খাওয়ার জন্য কিছু টাকাও দিই। এর পরই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে। বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি। আমার কাছে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত