বিনোদন ডেস্ক

২০ এপ্রিল, ২০১৬ ০১:২৪

গ্রেফতার হতে পারেন মডেল মুন

শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারে অভিযুক্ত মডেল ডা. জাকিয়া মুন দ্বিতীয় দফায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সামনে হাজির না হওয়ায় তার অবস্থান শনাক্ত করতে ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
 
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় মুন ও তার স্বামী শফিউল আজম মহসিনের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে হাজির হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তারা হাজির না হওয়ায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ফেরদৌসী মাহমুদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
 
একই সঙ্গে রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় মুনকে হাজির হতে অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ সফিউর রহমানের সই করা তৃতীয় ও চূড়ান্ত নোটিশ জারি করা হয়েছে।
 
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
 
সূত্র জানায়, কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। মুন যাতে তদন্তে সহায়তা না করে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য তাকে গ্রেফতার করার নির্দেশও দিতে পারে তদন্ত কমিটি।
 
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফায় মুন ও তার স্বামীর অধিদফতরে হাজির হয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি ব্যবহার বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিলো।
 
কিন্তু তারা মুন হাজির হননি। তবে বাহক পাঠিয়ে ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে সময় চেয়েছেন মুন। আত্মপক্ষ সমর্থন করায় রোববার (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে তাদের দু’জনকে।

সূত্র জানায়, তদন্তের স্বার্থে সমনে সাড়া না দেওয়া কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ এর ১৭২ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এতে এক মাস কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে মুন আত্মপক্ষ সমর্থন করায় তা করা হয়নি।
 
তাকে ২৪ এপ্রিল বিকেল ৩টায় সর্বশেষ সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হয়ে গাড়ির মালিকানা বিষয়ে বক্তব্য দিতে হবে মুন ও তার স্বামী মহসিনকে।
 
৬ এপ্রিল শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মুনের বাসার নিচের গ্যারেজ থেকে একটি পোরশে জিপ জব্দ করে। এ সময় মুন কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
 
গাড়ির মালিক প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও মুনের স্বামী মহসিন। মুন গাড়িটি ব্যবহার করতেন। গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা হলেও তা আর ফেরত পাঠানো হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত