সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ মে, ২০১৬ ১২:৪৭

রবি ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে দেশব্যাপি নানা কর্মসূচি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। 

এ উপলক্ষে কবির জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান আগামী ২৫ বৈশাখ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ৮ মে রোরবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকতারী মমতাজ।

এ প্রসঙ্গে  সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোল্লা আহমদ কুতুবুদ-দ্বীন বাংলামেইলকে জানান, এবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘একুশ শতকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাসঙ্গিকতা’। এ বিষয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য দেবেন- বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনার পর থাকবে ৩০ মিনিটের সাংস্কৃতিক পর্ব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এ পর্ব থাকবে ‘ রবীন্দ্রনাথের বাউল ধারার গানে সমৃদ্ধ’। মূল অনুষ্ঠানস্থলের পাশে আয়োজন করা হবে রবীন্দ্রনাথের আঁকা চিত্র প্রদর্শনী।

ঢাকাছাড়াও কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওঁগার পতিসর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় তার জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন। 

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিনদিনব্যাপী কবির চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমি কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করবে। যথাযোগ্য মার্যাদায় কবির জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বাংলা একাডেমি। ঢাকাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। 

যেসব জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে না, সেসব জেলার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়।

বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি বিভিন্ন চ্যানেলগুলো জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী ও অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

কবিগুরুর ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে মূল অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানসমূহে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রদান করবেন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত