০৯ এপ্রিল, ২০২০ ০১:৪২
চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ ও তার স্ত্রী বৈমানিক তানিয়া আহমেদের সংসার এক যুগেরও বেশি সময়ের। পেশাগত জীবনে দুজন দুই মেরুর হলেও সংসার জীবনের বন্ধন এখনো অটুট। তানিয়া আহমেদ বাংলাদেশ বিমানের পাইলট হওয়ায় দেশে-বিদেশে যেতে হয় প্রায়শই। করোনা ভাইরাসের এই সঙ্কটের মধ্যেই সম্প্রতি লন্ডন থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা ফিরেছেন তানিয়া। এরপর থেকেই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক সেলফ কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনি।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালে ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। সেখানে বলা হচ্ছে, ফেরদৌস ও তার স্ত্রী আলাদা থাকছেন। তাদের মধ্যে মনোমালিন্যেরও ইঙ্গিত করেছেন কেউ কেউ। বিষয়টি পরিষ্কার করে ফেরদৌস বলছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।’
ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘তানিয়া লন্ডন থেকে ফেরার পরই ১৪ দিনের সেলফ কোয়ারেন্টিনে আছে। কিন্তু কাউকে কাউকে দেখছি বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা ঠিক নয়।’
এদিকে দুই মেয়ে নুযহাত ও নামিরাকে নিয়ে ফেরদৌস আহমেদ এখন তার বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় আছেন। আর তার স্ত্রী গুলশানে তার বাবার বাড়িতে আছেন।
এই অভিনেতা বলেন, ‘ও (তানিয়া আহমেদ) ২৮ তারিখ দেশে ফিরেছে। কঠিন এই সময়টাকে তো আমাদের মেনে নিতে হবে। নিজেদের ও আশেপাশের মানুষদের ভালো থাকার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
আলাদা থাকলেও প্রতিদিনই তাদের কথা হয় জানিয়ে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ খ্যাত এই চিত্রনায়ক বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কাউকে কাউকে দেখছি লিখেছেন, আমি নাকি করোনায় আক্রান্ত! এটা তো সঠিক তথ্য নয়। কারও ব্যক্তিজীবনের অসত্য তথ্য নিয়ে এভাবে পাবলিকলি কথা বলাও তো আইনত অপরাধ। আবার কাউকে কাউকে দেখছি লিখছে, আমরা নাকি আলাদা থাকছি! দেশের এখন যে অবস্থা এতে করে কি এ ধরনের মিথ্যে তথ্য ছড়ানো উচিত? যারা এসব করছেন, আমি তাদের বলতে চাই-এখন এসব করার সময় নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখন অদৃশ্য একটা শত্রুর মোকাবেলা করছি। আমাদের সবার উচিত যার যার অবস্থান থেকে একে অপরকে সহযোগিতা করা। পেশাগতজীবনে ব্যস্ত থাকার কারণে আমরা যারা পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিতে পারি না, এখন এই সময়টাকে কাজে লাগানো উচিত।’
আপনার মন্তব্য