সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:৫৮

পান্না কায়সারের বর্ণাঢ্য জীবন

শহীদজায়া পান্না কায়সার। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন বরেণ্য লেখক-গবেষক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার।

তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।

পান্না কায়সার ২৫ মে ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে।

১৯৬৯ সালে তার বিয়ে হয় শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে। তার হাত ধরেই আধুনিক সাহিত্য ও রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় পান্না কায়সারের।

বিয়ের অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি স্বামীকে হারান। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর কিছু সদস্য শহীদুল্লা কায়সারকে তাঁর ২৯ বি কে গাঙ্গুলী লেনের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফিরে আসেননি। দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে একাই মানুষ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার স্লোগানে পরিচালিত শিশু কিশোরদের সংগঠন খেলাঘর নিয়ে আজীবন সক্রিয় ছিলেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে।

রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলে পান্না কায়সার। ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের হয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক।

সাহিত্য অঙ্গনেও বড় ভূমিকা রেখেছেন দেশবরেণ্য এই লেখক। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। এরমধ্যে রয়েছে, পান্না কায়সারের সাহিত্যকর্ম:

মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে (১৯৯১), মুক্তি (১৯৯২), নীলিমায় নীল (১৯৯২), হৃদয়ে বাংলাদেশ (১৯৯৩), মানুষ (১৯৯৪), অন্য কোনখানে (১৯৯৪), তুমি কি কেবলি ছবি (১৯৯৪), রাসেলের যুদ্ধযাত্রা (১৯৯৪), দাঁড়িয়ে আছ গানের ওপারে (১৯৯৪), আমি (১৯৯৪), না পান্না না চুনি (১৯৯৫), অন্য রকম ভালোবাসা (১৯৯৫), সুখ (১৯৯৫)।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখায় ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত