হামিদুর রহমান, মাধবপুর

২৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২৪ ১৩:১০

মাধবপুরে কাঠে তৈরি কারুকার্যময় রেস্তোরাঁ ‘গুড ডে’

‘গুড ডে’ রেস্তোরাঁটি সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে তৈরি দ্বিতল ভবন। দেখতে অভিজাত কারো বাড়ি মনে হলেও এটি আসলে একটি রেস্তোরাঁ। দেশীয় বিভিন্ন কারুকাজ আর নান্দনিকতায় নির্মিত এই রেস্তোরাঁটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার রতনপুর ডাক্তার বাড়ি গেইটে অবস্থিত।

রাতের আঁধারে বাইরের দৃশ্যকে ফুটিয়ে তুলতে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে মরিচা বাতিসহ বিভিন্ন ভাবে লাইটিং করে আকর্ষণীয় আলোকসজ্জার কাজও করা হয়েছে।

গত বছরের প্রথম দিকে স্থানীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা কুমিল্লার যুবক গোলাম মওলাসহ তার আরও চার বন্ধু মিলে ৪শ শতক জমি চুক্তিভিত্তিক (লিজ) ভাড়া নিয়ে রেস্তোরাঁটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। স্থাপনাটি আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে শুরু থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ৪০ জন কাঠমিস্ত্রি কাজ করেন। প্রায় এক বছর তারা ৪শ শতাংশ জমির ওপর এই ‘গুড ডে’ রেস্তোরাঁটি নির্মাণে কাজ করেছেন। ভবনটি কাঠ দিয়ে সাদা ও লাল রঙের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে।

রেস্তোরাঁটির মালিক গোলাম মওলার চীন ভ্রমণে গিয়ে এমন একটি রেস্তোরাঁ তৈরির স্বপ্ন দেখেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিরবাড়ি এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাঠের তৈরি স্থাপনা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা গোলাম মওলা স্থানীয় বাসিন্দাদেরসহ বিভিন্ন স্থানের লোকজনের অবসরে বিনোদনের জন্যে ২ কোটি টাকা ব্যয় করে এই রেস্তোরাঁটি নির্মাণ করেন।

নান্দনিকতায় নির্মিত রেস্তোরাঁটি দেখতে প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে ভিড় করছেন। এ বছরের শুরুতে রেস্তোরাঁটি উদ্বোধন করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসিক ৬০ হাজার টাকা ভাড়ায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রতনপুর ডাক্তার বাড়ি গেইটের পাশে গুড ডে ফুড এন্ড ফ্যামেলি পার্ক রেস্তোরাঁটি নির্মাণ করা হয়। গত বছরের প্রথম দিকে এই রেস্টুরেন্টটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন বলে জানান গোলাম মওলা। এক বছর কাজ শেষে এখন সম্পূর্ণ চালু হয়েছে ব্যতিক্রমী এই আকর্ষণীয় দৃষ্টিনন্দন রেস্তোরাঁটি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি টাকা। দ্বিতল বিশিষ্ট এই স্থাপনাটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ এবং এটিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে চালে ব্যবহার করা হয়েছে লাল টিন।

কাঠ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনাটির কারু কাজ ও নকশা তৈরিতে মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কারিগর এনে কাজ করানো হয়েছে।

ভোজনরসিকদের জন্য শুরুতে এখানে থাকছে বাংলা আইটেম, ইন্ডিয়ান আইটেম, কাচ্চি, সাদা ভাত গরুর মাংস, ফাস্টফুডসহ বাহারি খাবারের সমারোহ। রেস্তোরাঁটি বাণিজ্যিকভাবে এখন চালু করা হয়েছে।

গুড ডে রেস্তোরাঁর মালিক গোলাম মওলা বলেন, বড়বড় কবি ও সাহিত্যিকদের কাঠের তৈরি স্থাপনা দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ভিড় জমায়। চেষ্টা করেছি কাঠের তৈরি স্থাপনা করে সবার নজর কাড়তে। রাতের আধারে দৃষ্টিনন্দন করতে কয়েক লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে বিশেষ আলোকসজ্জা। আমরা ৫ বন্ধু মিলে কাজটি আমার মনের মতো করে সম্পন্ন করেছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত