নিউজ ডেস্ক

০৭ মে, ২০১৫ ০০:২৮

স্টিভ জবসের খোলা চিঠি

২০০৩ সালে স্টিভ বিশ্বের সকল তরুণদের প্রতি লিখেছিলেন সেই খোলা চিঠি, যেখানে উপদেশ হিসেবে দিয়েছিলেন কয়েক নির্দেশনা

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিবিদ স্টিভ জবস তরুণ উদ্যোগতাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে নানা ধরনের হিসাব নিকাশের সমাধানে দিয়ে গেছেন বেশ কিছু দিক নির্দেশনা। ২০০৩ সালে স্টিভ বিশ্বের সকল তরুণদের প্রতি লিখেছিলেন সেই খোলা চিঠি, যেখানে উপদেশ হিসেবে দিয়েছিলেন কয়েক নির্দেশনা যা সিলেট টুডে ২৪ ডট কম'এর পাঠকদের জন্য আজ তোলে ধরা হলো :

১. অপরাধ করো

কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে একটু ধাক্কা লাগতে পারে সবার। কীভাবে স্টিভ জবসের মতো একজন স্বপ্নদ্রষ্টা বলতে পারেন একথা। হ্যা, তিনি বলেছিলেন ঠিকই কিন্তু সেটি ভিন্ন অর্থে। অপরাধ করতে বলেছিলেন অন্যায় আর ভুলের বিরুদ্ধে। আইনবিরোধী কোনও কাজের জন্য নয়। তিনি বলেছিলেন, জীবন থেকে বিরক্তি, খারাপ চিন্তা কিংবা এ ধরনের চিন্তা ধারার মানুষ থেকে দূরে থাকতেই তার এই আহ্বান। নতুনত্বের জন্য এমন কিছু করুন,যেটি সরাসরি তৈরি করবে সৃজনশীল নতুন কোনও ধারণা।

২. পথদ্রষ্টাদের সঙ্গ ছেড়োনা'

কথাটির ব্যাখ্যা দিয়ে স্টিভ লিখেছিলেন,হাত মেলাবার জন্য জীবনে অনেক মানুষকেই পাওয়া যাবে। কিন্তু সঠিকভাবে সেই হাতে হাত মেলাবার মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য। যারা,আপনার সঙ্গে সঠিকভাবে হাত মেলাবে। দেবে জীবনে ঠিক পথে গতিশীল হবার দিক নির্দেশনা।

৩. ডিজাইন আছে সব জায়গায়

কোনও কিছুর একটি বাস্তবরূপই হতে পারে একটি নকশা। স্টিভ জবসের মতে মানুষের চিন্তার গঠন থেকে শুরু করে উচ্চারণ করা প্রতিটি শব্দ এক একটি ডিজাইন। একটি শিশুর উচ্চারণ করা প্রথম শব্দ থেকে শুরু করে মৃত্যুর পর মানবদেহ পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে একটি ডিজাইন। তাই ডিজাইন বা নকশার ব্যবহার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে-এটি বুঝতে হবে।

৪. ভিন্ন মতাদর্শীদের সম্মান কর

ভিন্ন মতার্দশীদের প্রসঙ্গ টেনে স্টিভ বলেন, সাধারণ থেকে ভিন্নভাবে কল্পনা করতে পারে এমন মতার্দশী মানুষেরা অনেক বেশি সম্মানের অধিকারী। কারণ, ভিন্নধর্মী কল্পনাপ্রবণ মানসিকতা জীবনের অনেক বৈচিত্রময় রুপ সর্ম্পকে ধারনা দিতে পারে। যুক্তি হিসেবে বলেন, ভিন্ন কল্পনাও যে কোনও সময় রূপ নিতে পারে বাস্তবে।

৫. ভবিষ্যতে হবে বিপরীত কিছু

ভবিষ্যত কল্পনায় আমরা শুধু আধুনিকতা নিয়ে ভাবি,হতে পারে বিপরীত কিছুও। আমরা স্বপ্ন দেখতে চাইলে কেবল চিন্তা করি যে আমাদের ভবিষ্যত হবে আরও আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর। যেখানে প্রাত্যহিক কার্যক্রমে মানুষের বেশির ভাগ কাজ নির্ভর করতে হবে রোবটের ওপর। কিন্তু, হতে পারে এর বিপরীত চিত্রটিও।

৬. বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সমন্বয়ে তৈরি হয় সৃজনশীল সৃষ্টি

নতুন কোনও আবিষ্কার ভিন্ন কোনও স্থান থেকে আসে না। এটি থাকে আমাদের আশেপাশেই,শুধু প্রয়োজন হয় বিষয়গুলোকে অনুভব করে একত্রীকরণের। গান,গল্প,মেশিন থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক প্রতিটি বিষয় নিয়ে নতুন কোনও সৃষ্টির গল্প খুঁজে পাওয়া যাবে চারপাশেই।

৭. প্রত্যেকেরই কাজ নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে!

আপনি কোন সময় কাজ ছেড়ে বের হন? এমন প্রশ্নের উত্তরে সবার জন্য একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন স্টিভ জবস। সোজাসাপটা একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উত্তর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন,কাজ যেহেতু আমার নেশা,তাই আমি কখনও কাজের বাইরে থাকি না।

৮. মস্তিষ্ককে মনের নিয়ন্ত্রণ দেওয়া যাবে না

মস্তিষ্কের কাজ মস্তিষ্কে আর মনের কাজ মনে। দুটো বিষয়কে কখনওই এক করতে দেওয়া যাবে না। আর এটি যদি জীবনের প্রতিটি দিন মেনে চলা যায়, সাফল্যতা হবে জীবনের নিত্যসঙ্গী।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত