আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৩ এপ্রিল, ২০২২ ১২:৪২

পুতিনের প্রধান মিত্রকে গ্রেপ্তার, দাবি ইউক্রেইনের

পলাতক রাশিয়াপন্থী রাজনীতিক ভিক্টর মেদভেদচুককে গ্রেপ্তার করেছে ইউক্রেন। মেদভেদচুককে মনে করা হয় ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী। নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, সামরিক উর্দি ও হাতকড়া পরে মেদভেদচুক দাঁড়িয়ে আছেন। খবর বিবিসির।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভিক্টর মেদভেদচুক সন্দেহভাজন একজন রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গৃহবন্দী ছিলেন। তবে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পরপরই তিনি পালিয়ে যান। ইউক্রেনের তোলা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ৬৭ বছর বয়সী মেদভেদচুক।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রস্তাব দেন, রুশ বাহিনীর হাতে বন্দী ইউক্রেনের তরুণ ও তরুণীদের বিনিময়ে মেদভেদচুককে ছেড়ে দিতে রাজি তিনি। এর আগে ফেসবুকে তিনি জানান, এসবিইউর এক বিশেষ অভিযানে মেদভেদচুক গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এসবিইউ বলেছে, ‘আপনি একজন রাশিয়ানপন্থী রাজনীতিক হতে পারেন এবং বছরের পর বছর ধরে আগ্রাসী রাষ্ট্রের হয়ে কাজ করতে পারেন। আপনি হয়তো সম্প্রতি বিচারব্যবস্থায় ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি ছদ্মবেশ ধরার জন্য আপনি ইউক্রেনের সামরিক উর্দিও পরতে পারেন। কিন্তু এটা কি আপনাকে শাস্তি থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে? একেবারেই না! শিকল আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এবং আপনার মতো আরও যাঁরা ইউক্রেনের বিশ্বাসঘাতক, তাদেরও এমনটাই হবে।’

ভ্লাদিমির পুতিন তার মেয়েদের কাছে একজন গডফাদার বলে দাবি করা ভিক্টর মেদভেদচুক ইউক্রেনের একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থী বিরোধী পক্ষের ফর লাইফ পার্টির নেতৃত্বে দেন তিনি। তবে ইউক্রেনের সরকার ও সামরিক বাহিনীর অভিযোগকে তিনি ‘রাজনৈতিক দমন-পীড়ন’ বলেই বর্ণনা করে থাকেন।

তবে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে অভিযুক্ত করলেও মেদভেদচুককে কাজে লাগাত ইউক্রেনের রাজনীতিকেরা। কারণ ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মনে করা হতো। তবে ২০২১ সালের মে মাসে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলা হয়।

এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বলা হয়েছে, মেদভেদচুকের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি যাচাই করে দেখছে তারা। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এটা নিয়ে তথ্য যাচাই করার কারণ, ইউক্রেন থেকে এখন অসংখ্য ভুয়া সংবাদ আসছে। তাই সেখান থেকে আসা সব তথ্যই এখন যাচাই করে দেখা প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত