সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৯ মে, ২০১৬ ২২:৪০

কারাগারে জায়গা দিতে না পেরে ২০০০ বন্দীকে ক্ষমা

মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছেন এক নারী

কারাগারে নতুন বন্দী রাখার জায়গা নেই। আর তাই পুরনো বন্দীদের মধ্য থেকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে ২০০০ জনকে। ক্ষমাপ্রাপ্ত বন্দীদের অনেককেই ইতিমধ্যে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাদের স্থানে আনা হবে নতুন বন্দী। আশ্চর্য মনে হলেও এমনটাই করেছে জিম্বাবুয়ের সরকার। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

ক্ষমাপ্রাপ্তদের আর অপরাধ জীবনে ফিরে না যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে কর্তৃপক্ষ। পুরুষ বন্দীদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সীদের এবং নারী বন্দীদের মধ্যে দুইজন ব্যতিত বাকি সবাইকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জিম্বাবুয়ের পত্রিকা দ্য হেরাল্ড।

জিম্বাবুয়ের কারাকর্মকর্তা প্রিসিলিয়া থেম্বোর বরাত দিয়ে পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই ক্ষমাকে বন্দীদের চূড়ান্ত বলে গ্রহণ উচিৎ হবে না। তাদের আপাতত বাইরে যেতে দেয়া হয়েছে এবং দেশের আইনের প্রতি সম্মান দেখানো সুযোগ দেয়া হয়েছে।’

সাময়িকভাবে অসুস্থ ও যাদের তিন বছরেরও কম সময়ের কারাদণ্ড হয়েছে এবং এর মধ্যে চারভাগের তিনভাগে কারাদণ্ড ভোগ করে ফেলেছেন তাদের জন্যই এ ক্ষমা প্রযোজ্য হবে। খুন, রাষ্ট্রদ্রোহ, ধর্ষণ, সশস্ত্র ডাকাতি, গাড়ি চুরি এবং যৌন অপরাধীদের জন্য এই ক্ষমা প্রযোজ্য হবে না।

থেম্বো বলেন, ‘আমাদের দেশের ৪৬টি কারাগার ইতিমধ্যে বন্দী ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে। প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমা কারাগারগুলোকে খোলামেলা করবে এবং বাকি বন্দীদের জন্য সুন্দর আবাস নিশ্চিত করবে।’ সুন্দর জীবনযাপনের জন্য ক্ষমাপ্রাপ্তদের দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়ার জন্য জিম্বাবুয়ের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান এই নারী কারাকর্মকর্তা।

১৯৮০ সাল থেকে রাবার্ট মুগাবে জিম্বাবুয়ে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে দেশটির কারাগারে ২০ হাজার বন্দী আছে। গত বছর রাজধানী হারারাতে কারা-বিদ্রোহের সময় তিন বন্দীকে গুলি করে মারা হয়। অপুষ্টি এবং অসুস্থতার কারণে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত কারাগারে ১০০ বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত