নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ জুন, ২০১৬ ০১:২১

বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রও বলছে আইএসের ‘দায় স্বীকার’ ভিত্তিহীন

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে একের পর এক গুপ্তহত্যার ঘটনায় উগ্র ধর্মীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী (আইএস) এর নামে দায় স্বীকারের বার্তা দিয়ে আসছে সন্ত্রাস পর্যবেক্ষক বলে পরিচিত মার্কিন সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স এবং আইএসের মুখপাত্র আমাক সংবাদ সংস্থা। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই এসব দায় স্বীকারকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফ্লোরিডায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মার্কিন প্রশাসনও একই পথে হাঁটল।

রোববার (১২ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি নাইট ক্লাবে বন্দুকধারীর হামলায় ৫০ জন নিহতের পর সেই বন্দুকধারীকে নিজেদের সদস্য দাবি করে ঘটনার দায় স্বীকার করে বার্তা দেয় আইএস (খবর রয়টার্সের)। তবে বাংলাদেশের মতই মার্কিন প্রশাসনও আইএসের এই দায় স্বীকারকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

এই হামলার পর দেয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, "ফ্লোরিডার ঘটনার সাথে আইএসের কোন সম্পর্ক নেই। এসব দায় স্বীকারের কোন গ্রাউন্ড নেই। " 

আরও পড়ুন- ফ্লোরিডায় নৈশক্লাবে হামলায় ওবামা জড়িত, বললেন ট্রাম্প

সেদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "হামলাকারী ওমর মতিন উগ্রবাদে বিশ্বাসে থাকলেও তার সাথে আইএসের সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ মেলেনি"। মার্কিন পুলিশ মনে করছে ওমর উগ্র ধর্মীয় বিশ্বাস ধারা প্রভাবিত হলেও হামলাটি সে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই ঘটিয়েছে।

আরও পড়ুন- স্ত্রীকে নিয়মিত পেটাতেন ‘সহিংস মনের’ ওমর, আগে দুবার আটকও হয়েছিলেন

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এই ওমরকে আগে দুবার আটক করে প্রমাণ না পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়।

জানা গেছে, আইএস সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা বলে সহকর্মীদের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় তাকে ২০১৩ সালে এফবিআই কর্মকর্তারা দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করে।

কর্মকর্তারা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তদন্ত শেষ করা হয়। তবে ২০১৪ সালে আবারো সিরিয়ায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সাথে যোগাযোগের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সেবারও এধরণের যোগাযোগের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং তদন্তটি সেখানেই শেষ করা হয়। অভিযোগ প্রমাণ না পাওয়ায় আইন অনুয়াই একটি অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল ওমরের। সেই অস্ত্র দিয়েই রোববার শতাধিক মানুষের উপর হামলা চালিয়ে অর্ধশত মনুষ হত্যা করে সে। পরে পুলিশের গুলিতে নিজেও নিহত হয়।

বাংলাদেশে লেখক, ব্লগার, অধ্যাপক, অধিকারকর্মী, হিন্দু পুরহিত ও সেবায়েত, খৃষ্টান ব্যবসায়ী ও ভিন্ন মতাবলম্ভিদের উপর চলমান গুপ্তহত্যায় উগ্র ধর্মীয় কোন জঙ্গিগোষ্ঠির জড়িত থাকার সম্ভাবনা পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হলেও আইএসের যুক্ত থাকার খবরকে বরাবরই উড়িয়ে দেয়া হয়ে আসছে।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত