ধর্ষণের চেষ্টাকালে এক ধর্মগুরুর যৌনাঙ্গ কেটে দিয়েছেন ভারতের কেরালার এক তরুণী।

শুক্রবার (১৯ মে) কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই ধর্মগুরুর নাম স্বামী গঙ্গেশানন্দ ওরফে হরি স্বামী। তিনি কেরালার কোল্লামের পনমানা আশ্রমের সদস্য। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। তাকে সারিয়ে তুলতে স্বামী গঙ্গেশানন্দের শরণাপন্ন হন তার মা। রোগ সারিয়ে তোলার নামে ওই ধর্মগুরু প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতেন। বাড়িতে আসার সুযোগে গত আট বছর ধরে তাকে বিভিন্ন সময় হরি স্বামী ধর্ষণ করেছেন। ১৬ বছর বয়সে প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করেন ওই ধর্মগুরু।

নিয়মিত ধর্ষণের ঘটনাটি জানতেন ওই তরুণীর মা। কিন্তু ধর্মগুরু হরি স্বামীর হুমকির কারণে কোনোদিন বাধা দেওয়ার সাহস পাননি তিনি। বাবার অসুস্থতা, মায়ের ভয়- এসব কারণে এতদিন নিরবে সবকিছু সহ্য করে গেছেন বলে জানিয়েছেন ওই তরুণী। তরুণীর অভিযোগ, অসহায়তার সুযোগ নিয়ে স্বামী গঙ্গেশানন্দ তার মাকেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন।

শুক্রবার আবার বাড়িতে আসেন ওই গুরু এবং যথারীতি তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখনই হাতের কাছে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে স্বামী গঙ্গেশানন্দের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেন ওই তরুণী। তারপর নিজেই ফোন করে ঘটনার কথা জানান পুলিশকে। পুলিশ এসে গুরুতর আহত হরি স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, স্বামীর যৌনাঙ্গের ৯০ শতাংশ ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে অস্ত্রোপচার করে সেটাকে ঠিক করার মতো অবস্থা ছিল না।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনাটি জানা সত্ত্বেও কেনো পুলিশে জানানো হয়নি, সে কারণে ওই তরুণীর মাকেও জেরা করা হচ্ছে।