সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:২৭

পাকিস্তানে ধর্ষণের শাস্তি স্বরূপ প্রকাশ্যে ধর্ষণ!

এই বাড়িটিতেই ঘটেছে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা

ধর্ষণের শাস্তি স্বরূপ প্রকাশ্যে ধর্ষণ। এমনই বর্বর সালিশি আদেশ দিয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত। আর সেই নির্দেশ পাওয়ার পর গ্রাম-পঞ্চায়েতের সদস্য ও পরিবারের লোকজনের সামনেই গণধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী।

আর এমন অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মোজাফফরাবাদের পুলিশ কর্মকর্তা আল্লাহ বকসের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, চলতি মাসের শুরুতে মুলতানের এক ব্যক্তি জিগরার (গ্রাম-পঞ্চায়েত) কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর ছোট বোন এক আত্মীয়দের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর পরই পঞ্চায়েতের সদস্যরা সালিশে বসেন এবং শাস্তি হিসেবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা ওই যুবকের কিশোরী বোনকে জনসম্মুখে ধর্ষণের নির্দেশ দেন।

ডন জানায়, শাস্তি পাওয়া কিশোরীকে জোর করে ধরে এনে তার বাবা-মা এবং সালিশ দলের সামনে ধর্ষণ করা হয়। মেডিক্যাল পরীক্ষায় দুই কিশোরীরই ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

আরেক পুলিশ কর্মকর্তা আহসান ইউনুস বিবিসি উর্দুকে জানান, এ ঘটনায় পুলিশ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। তাদের মধ্যে ধর্ষকসহ ৫ জন পলাতক রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জিরগা (গ্রাম-পঞ্চায়েত) সাধারণ স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে।

পুলিশ বলছে, ওই দুই পরিবারের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে।

এর আগে ২০১২ সালে একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল পাকিস্তানে। ছোট ভাই মাঝবয়সী এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক করায় ২৮ বছরের তরুণী মুক্তার মাইকে গণধর্ষণের নির্দেশ দেয় পঞ্চায়েত। সেই মুক্তার মাই এখন একজন বিখ্যাত নারী অধিকারকর্মী।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত