সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১২:৪৯

পর্নো দেখে ধরা খেলেন মার্কিন সিনেটর, সমালোচনা

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে পর্নো ভিডিও দেখে ‘লাইক’ দিয়ে ধরা পড়েছেন মার্কিন সিনেটর টেড ক্রুজ। এই ঘটনায় বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে টেড ক্রুজ টুইটারে সেক্সুয়াল পোস্টের পোস্ট করা দুই মিনিটের পর্নো ভিডিওটি দেখেছেন। এরপর তার অ্যাকাউন্ট থেকে লাইকও দেওয়া হয়েছে ওই পোস্টে। যদিও টুইটার তাদের এই প্ল্যাটফর্মে পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করেছে।

এ বিষয়ে রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর টেড ক্রুজ বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সেক্সুয়াল পোস্টের পোস্ট করা দুই মিনিটের পর্নো ভিডিওটিতে তার একজন সহকারী ভুল করে লাইক দিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্নো ভিডিওটি দেখে লাইক দেওয়ায় তা হাজারো ফলোয়ারের কাছে নোটিফিকেশন চলে যায়। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই বলেছেন, নাইন-ইলেভেনে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানানোর দিনে টুইটারে বসে পর্নো দেখছেন সিনেটর। পরে স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে পোস্টটি টেড ক্রুজের অ্যাকাউন্ট থেকে মুছে ফেলা হয়। কিন্তু ততক্ষণে হাজারো ব্যবহারকারী তা শেয়ার করে ফেলেছেন।

টেড ক্রুজ বলেন, টুইটারে তার অ্যাকাউন্টটি বেশ কয়েকজন সহকারী পরিচালনা করেন। তাদেরই কেউ হয়তো এ ঘটনা ঘটাতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এটা অসাবধানতাবশত একটি ভুল। ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হয়নি।’ তিনি বলেন, অনিচ্ছাকৃত ভুল হলেও ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পরে টেড ক্রুজের জ্যেষ্ঠ যোগাযোগ উপদেষ্টা ক্যাথেরিন ফ্রেজিয়ার এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘টেড ক্রুজের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অশালীন পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করা হয়েছে।’

পর্নোগ্রাফির সঙ্গে টেড ক্রুজের নাম জড়ানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওকে আক্রমণ করে একটি পর্নো বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছিল তাকে। নারীর শরীরের স্বাধীনতার বিপক্ষে তিনি নিয়মিত ভোট দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া ২০০৭ সালে যৌন খেলনা বন্ধের চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত