১৩ জানুয়ারি, ২০১৫ ০৩:৪৬
তাঁর চালচলন ঠিক ঠিক রাখালের মতো। এমনকি রাজস্থান
রাজ্যের বসুন্ধরা রাজের দপ্তরেও তিনি সেভাবে চলাফেরা করেন। রাজ্যের প্রথম
গরুমন্ত্রি হওয়ার পর এখন দাবি জানাচ্ছেন কেন্দ্রেও গরু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
প্রতিষ্ঠার এবং আশা করছেন নরেন্দ্র মোদি তাঁর আবেদনে সাড়া দেবেন।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে রাজস্থানের
পশুসম্পদের প্রতি আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বিবেচনায় বিজেপির প্রচারণায় অঙ্গীকার দেওয়া
হয়, সরকার গঠন করলে তারা পৃথক গবাদি পশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করবে।
নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দুগ্ধ ও
দেবস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়, সেই মন্ত্রণালয়েরও প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন
দেবাসী। ওই মন্ত্রণালয়ে বেশ দক্ষতার পরিচয় দেওয়ায় এবার ‘গৌপালন বিভাগের’ দায়িত্বও পেলেন তিনি। তার দায়িত্বে রয়েছে রাজস্থানের গো সেবা কমিশন ও গরু সংরক্ষণ অধিদফতরও।
শুধু মন্ত্রণালয় দেখভালের দায়িত্ব নিয়েই তিনি
সন্তুষ্ট নন তাঁর নিজেরও রয়েছে পবিত্র প্রাণী হিসেবে বিবেচিত ২০-২৫টি গরু।
দেবাসী একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি রাজ্যের গরু বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শরণাপন্ন হয়েছি এবং এ
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চেয়েছি। তাছাড়া, কেন্দ্রেই গরু বিষয়ক
মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
গরু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনের তিন মাসে তিনি
উল্লেখযোগ্য কিছু করেছেন বলে দাবি করেন দেবাসী।
আপনার মন্তব্য