সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ জুন, ২০১৮ ১০:৩৯

৫ মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বহাল

বিশ্বের পাঁচটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জনগণের আমেরিকা ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে সমর্থন দিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এটি ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি। ফলে একে তিনি মন্তব্য করেছেন 'একটি অসাধারণ সাফল্য' হিসেবে।

এর আগে নিম্ন আদালতে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করা হয়েছিল ।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকে অধিকাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার মুখে পড়বে।

সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে মিস্টার ট্রাম্প 'জাতি ও সংবিধানের জন্য মহান বিজয়' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের এই সময়ে "আমাদের আরও কঠোর হতে হবে এবং আরও নিরাপদে থাকতে হবে"।

তিনি আরও বলেন, এই রুলিং প্রমাণ করছে যে মিডিয়া এবং ডেমোক্রেটিক রাজনীতিকদের সবধরনের আক্রমণ ছিল ভুল এবং তারা নিজেরা ভুল হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে।

সেইসাথে তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখবেন, তারা এই মুহূর্তে তাদের অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার জন্য সাক্ষাত করছে।

তবে শরণার্থী এবং মানবাধিকার গ্রুপগুলো এর ব্যাপক সমালোচনা করেছে।

যদিও একজন বিচারক এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ-বশত উদ্দেশ্যমূলকভাবে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে দোষারোপ করেছেন।

তবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে এই নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নেয়া হচ্ছে । হোয়াইট হাউজ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয় এই রুলিং আমেরিকার জনগণ এবং সংবিধানের জন্য অসাধারণ সাফল্য।

কিন্তু সমালোচকরা মনে করছেন এর মধ্য দিয়ে আমেরিকার ভেতরে মুসলমানদের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ এটি।

সমালোচকরা এটাও বলছেন যে, এর আগে নাইন ইলেভেন হামলা, বোস্টন ম্যারাথন বোমা কিংবা অরল্যান্ডো নাইটক্লাবে হামলা চালিয়েছিল যারা তারা ছিল নিষেধাজ্ঞার তালিকার ভেতরে থাকার পাঁচটি দেশের বাইরের কোনও দেশের যেমন, সৌদি আরব, মিশর, কিরগিজস্থান কিংবা মার্কিন বংশোদ্ভূত কোনও হামলাকারী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত