আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৮ আগস্ট, ২০১৫ ২৩:০৮

দু’দিনের হামলায় আফগানিস্তানে নিহত ৫০

আফগানিস্তানে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (৬ ও ৭ আগস্ট) তালেবান জঙ্গিদের কয়েক দফা হামলায় অন্তত অর্ধশত লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকশ’। শীর্ষ নেতার মৃত্যুর পর নেতৃত্ব নিয়ে বিবাদে তালেবানদের দুর্বল হয়ে যাওয়ার খবর ছড়ানোর প্রেক্ষিতে বিক্ষিপ্তভাবে এ হামলা চালানো হলো।

জঙ্গিদের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সেখানে নিয়োজিত পশ্চিমা সামরিক জোটের স্থাপনা ও যানবাহন, স্থানীয় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ।

‍আফগান স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার (৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। মন্ত্রণালয় দু’টির কর্মকর্তারা জানান, বিক্ষিপ্তভাবে আক্রমণের পাশাপাশি তালেবানরা ঘনবসতির একটি বেসামরিক এলাকায় ট্রাকে বোমা পেতে এবং পুলিশ একাডেমিতে আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়েও হামলা চালিয়েছে।

এই হামলার পর সরকার ও তালেবানদের মধ্যকার সংলাপ আরও বেশি অনিশ্চিত হয়ে গেল। বারবার বাধাগ্রস্ত হওয়া সংলাপ জুলাইতে ফের শুরু হয়ে গত সপ্তাহেই স্থগিত হয়ে যায়। 

কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার রাজধানী কাবুলের পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণার্থীদের লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলাকারী বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে সেখানে ২৮ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়। এদিন পৃথকভাবে রাজধানীর বিমানবন্দরের কাছে পশ্চিমা সামরিক জোটের স্থাপনা সংলগ্ন একটি এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। সেখানে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর আটজন ও ন্যাটোর এক সৈন্য নিহত হন। আহত হন আরও কয়েকজন।

এর আগের দিন কাবুলের একটি সেনা স্থাপনার কাছে বোমা হামলায় ১৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়।

সংবাদমাধ্যম বলছে, তালেবানদের প্রধান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের মৃত্যু হয়েছে বলে সম্প্রতি খবর দেওয়া হয়। এ খবরের পর মোল্লা আখতার মনসুরকে নতুন নেতা হিসেবে মনোনীত করা হয়। কিন্তু তাকে মনোনীত করার বিষয়ে মোল্লা ওমরের ভাই মোল্লা আবদুল মান্নান ও ছেলে ইয়াকুব দ্বিমত পোষণ করেন। তারা দাবি করেন, ‘মনসুরের প্রতি তালেবানের বৃহৎ অংশের কোনো সমর্থন নেই।’ নেতৃত্বের এই সংকট সৃষ্টি হলে তালেবানে ফাটল ধরার খবর ছড়ায়। এই খবরের পরপরই এমন বিক্ষিপ্ত হামলা চালিয়ে শক্তির জানান দিল জঙ্গিরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত