ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৫ আগস্ট, ২০১৫ ০২:৩০

ফেলানী হত্যা মামলায় বিএসএফের রায় বাতিল করল ভারতের সুপ্রীম কোর্ট

সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটি সিবিআই বা নিরপেক্ষ কোনো সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু, বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি অমিতাভ রায়ের এজলাস থেকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আদালতে শুক্রবার এই মামলার প্রথম শুনানি হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আবেদনকারীদের আরজি অনুযায়ী ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিএসএফ এবং ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নির্দেশে বলা হয়েছে, ফেলানী হত্যা মামলায় ২০১৩ ও ২০১৫ সালে বিএসএফের আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করে সিবিআই অথবা কোনো নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে মামলাটির তদন্ত করানো হোক।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। তার লাশ দীর্ঘ সময় ঝুলে থাকে কাঁটাতারের বেড়ায়।

এই ছবি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভারতের কোচবিহার জেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিশেষ আদালত ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন।

এরপর গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার শুরু হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য এই বিচার কাজ পরিচালিত হয়। আদালতের ৩ কার্যদিবস চলার পর চলতি বছরের গত ২ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায়ে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করেন আদালত।

তবে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম গত ৮ জুলাই আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মাধ্যমে ভারতের মানবাধিকার সংগঠন বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সম্পাদক কিরীটী রায়ের কাছে ন্যায়বিচারের কার্যকর উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে একটি আবেদন করেন।

এ ব্যাপারে মাসুমের সম্পাদক কিরীটী রায় বলেন, আট-দশ দিন আগে আমরা সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদনটি দাখিল করেছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি গ্রহণ করায় এবং নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। ফেলানীর পরিবার এবার ন্যায়বিচার পাবে বলে আমরা আশা করছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত