সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:৪৭

এরআগেও ব্যর্থ হয়েছিল ভারতের চন্দ্রমিশন

এটাই প্রথম নয়, এরআগেও ব্যর্থ হয়েছিল ভারতে চন্দ্রে অবতরণের মিশন। ২০০৮ সালে ব্যর্থ হয়েছিল তাদের প্রথম মিশন, সে বার চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ করে। তবে এটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেনি। চন্দ্রযান-১ রাডার ব্যবহার করে চাঁদে পানির খোঁজ চালায়।

এবার চন্দ্রযান-২ চাঁদে নামার শেষ মুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ অভিযান পরিচালনা করতে ভারতের ব্যয় হয়েছে এক হাজার কোটি রুপি। এতে এক প্রকার মুষড়ে পড়েন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) বিজ্ঞানীরা। তবে তাদের ‘সান্ত্বনা’ দিয়ে উজ্জীবিত করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

চন্দ্রযান-২ চাঁদে অবতরণ করতে পারলে চন্দ্রবিজয়ী দেশ হিসেবে চতুর্থ দেশ হতো ভারত। এরআগে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া চন্দ্রবিজয় করেছে। তবে তা চাঁদের অন্য অঞ্চলে।

এদিকে, ভারতের এই চন্দ্র অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর হতাশ হয়ে পড়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজ্ঞানীদের আশ্বস্ত করে বলেন, এটা জীবনের উত্থান ও পতন। এটা কম কৃতিত্ব নয়। আমি আপনাদের অভিন্দন জানাই। আপনারা সবাই দেশ, বিজ্ঞান ও মানুষের জন্য দারুণ কাজ করেছেন, সবরকমভাবে আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি, সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলুন।

মোদি আরও বলেন, আগামী দিনেও ভারত মহাকাশে বিক্রম দেখবে। তার কথায় , ভবিষ্যতে অভিযান করব। আমি আপনাদের পাশে। হিম্মত রাখুন। আপনাদের সাহসে দেশ আরও আনন্দ করবে।

মধ্যরাতে বেঙ্গালুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরোর কন্ট্রোলরুমে বসে চাঁদে নামার অভিযান সরাসরি দেখছিলেন। তাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে প্রথম দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় ছিল ভারত। তবে শেষমেশ মিশন সফলের বার্তা দিতে পারেনি ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

রাত ২.২০ মিনিটে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলছিল বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। তার পর যানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত