সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৬:৩৬

শরণার্থী সংকট: ইউরোপীয় কমিশনের নতুন প্রস্তাব ঘোষণা

শরণার্থী সংকট কাটাতে ইউরোপের দেশগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে ১লাখ ৬০ হাজার শরণার্থী বা অভিবাসী নেয়ার প্রস্তাব করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদ ইয়োঙ্কা।

গত মে মাসে কমিশনের বৈঠকে ৪০ হাজার শরণার্থী গ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হবে আরো ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী বা অভিবাসী।

এই সমস্যা মেটাতে ইউরোপের দেশগুলোকে একটি সহজ, সংকল্পবদ্ধ আর সমন্বিত পদক্ষেপ নিতেও কমিশনের সদস্য দেশগুলোর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

ইয়োঙ্কা বলেন, এখন অভিবাসীদের নিয়ে দ্বিধা বা ভয়ের সময় নয়।

স্টেট অব দি ইউনিয়নের বার্ষিক বক্তৃতায় ইউরোপীয় কমিশনের প্রায়োধিকার তুলে ধরার সময় কমিশনের প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা এলো।

বক্তব্যের শুরুতেই জ্যঁ-ক্লদ ইয়োঙ্কা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন ভালো পরিস্থিতিতে নেই, ইউনিয়নের ভেতর ইউরোপের অনুপস্থিতি রয়েছে, আর ইউনিয়নের ভেতর নেই ইউনিয়ন বা ঐক্য।

শরণার্থী সংকট সমাধানের বিষয়টিকে তিনি মানবিকতা আর মানবিক আচরণ বলে বর্ণনা করেন।

ইয়োঙ্কারের প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, গত মে মাসে প্রত্যেক দেশের ৪০ হাজার শরণার্থী নেয়ার যে প্রস্তাবনা ছিল, প্রতিটি দেশ তার অতিরিক্ত আরো ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী গ্রহণ করবে।
যদিও তখন দেশগুলো মাত্র ৩২ হাজার শরণার্থী গ্রহণে সম্মত হয়েছিল।

প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় এখন ইটালি, গ্রীসে আর হাঙ্গেরিতে থাকা শরণার্থীদের অন্তত ৬০ শতাংশ জার্মানি, ফ্রান্স আর স্পেন গ্রহণ করবে।

এছাড়া বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা, বেকারত্ব হার আর বর্তমান শরণার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় দেশগুলোর কোটা নির্ধারণ করা হবে। কোন দেশ শরণার্থী গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে আর্থিক জরিমানার বিধান থাকবে।

ভবিষ্যতে এরকম সংকট সহজ আর ঠিকভাবে সমাধানে একটি স্থায়ী কার্যব্যবস্থা গড়ে তোলারও প্রস্তাব দিয়েছেন ইয়োঙ্কা।

প্রস্তাবনা অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোয় একটি অভিন্ন আর শক্তিশালী শরণার্থী আশ্রয়নীতি তৈরি করা হবে। এছাড়া ‘তথাকথিত’ ডাবলিন সিস্টেম, যে নীতিতে শরণার্থীদের তাদের প্রথমে আসা দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন করতে হয়, সেই নীতি পুনর্বিবেচনারও প্রস্তাব করেছেন তিনি।

এ মাসের ১৪ তারিখে ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত