আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৫ মে, ২০২০ ০০:৫৯

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক দেবেশ রায়ের প্রয়াণ

চলে গেলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক দেবেশ রায়। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ভারতের কলকাতার তেঘরিয়া অঞ্চলের ঊমা নামে একটি বেসরকারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে এদিনই তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর : নিউজ১৮বাংলা

পরে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে চিকিৎসকরা তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে পাঠান। পরে তিনি রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই বেশ অসুস্থ ছিলেন।

জানা যায়, তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই বেশ অসুস্থ ছিলেন।  বিশিষ্ট এ সাহিত্যিক ভার্টিগোজনিত সমস্যার কারণে শারীরিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। বুধবার ডিহাইড্রেশানজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

বিজ্ঞাপন

 


বাংলা সাহিত্যের এই প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে উত্তরবঙ্গে। সেই সূত্রেই লিখেছিলেন তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত। ১৯৮৮ সালে লেখা তাঁর এই উপন্যাস ছকে ফেলা সাহিত্যের সীমারেখা ভেঙে ফেলেছিল। এই উপন্যাসের সৌজন্যেই ১৯৯০ সালে তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরষ্কার লাভ করেছিলেন।

১৯৭৯ সাল থেকে পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দেবেশ রায়। আহ্নিক গতি ও মাঝখানের দরজা’, ‘দুপুর’, ‘পা’, ‘কলকাতা ও গোপাল’, ‘পশ্চাৎভূমি’, ‘ইচ্ছামতী’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন’, ও ‘উদ্বাস্তু’— এই আটটি গল্প নিয়ে দেবেশ রায়ে র প্রথম গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর প্রথম প্রথম উপন্যাস যযাতি। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হল: মানুষ খুন করে কেন (১৯৭৬), মফস্বলী বৃত্তান্ত (১৯৮০), সময় অসময়ের বৃত্তান্ত (১৯৯৩), তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত (১৯৮৮), লগন গান্ধার (১৯৯৫) ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন সাহিত্যিক দেবেশ রায়। সেই সূত্রেই নিবিড় যোগাযোগ স্থাপিত হয় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সঙ্গে। রপ্ত করেছিলেন রাজবংশী ভাষা। কলকাতা শহরে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ওতোপ্রতোভাবে। শ্রমিকদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল দেবেশবাবুর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত