নিজস্ব প্রতিবেদক

১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ০০:৪০

বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানীর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর আতাউল গণি ওসমানীর ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮৪ সালের এই দিনে ৬৬ বছর বয়সে মারা যান মুক্তিযুদ্ধের এই সর্বাধিনায়ক।

বাংলার এ কৃতী সন্তান ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ওসমানীর আদি পুরুষের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীরে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ওসমানী তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৩৯ সালে তিনি রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। দেরাদুনে ব্রিটিশ-ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিণ শেষে তিনি ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কমিশনড অফিসার হিসেবে। ১৯৪২ সালে মেজর পদে উন্নীত হন।

১৯৪২ সালে ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের সর্বকনিষ্ঠ মেজর। ১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদমর্যাদা লাভ করেন এবং সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারের জেনারেল স্টাফ অ্যান্ড মিলিটারি অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। একাত্তরের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার্থে লন্ডন থাকাকালীন ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এম এ জি ওসমানী মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় সিলেটে সমাহিত করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত