অনলাইন ডেস্ক

০২ জুন, ২০২০ ২১:৪১

করোনাকালে শিশুর টিকা

শিশুদের জন্য নিউমোনিয়া, পোলিও, যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হাম, রুবেলার ঝুঁকি করোনার সংক্রমণের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তাই করোনাভাইরাসের মহামারির সময় শিশুর টিকা নিয়ে অনেক মা-বাবা উদ্বিগ্ন। একদিকে সংক্রমণের আশঙ্কায় শিশুকে নিয়ে বাইরে যেতে পারছেন না তারা, অন্যদিকে টিকার সময়ও পেরিয়ে যাচ্ছে। 

আমাদের দেশে শিশুর দেড় মাস থেকে ১৫ মাস বয়স পর্যন্ত মোট পাঁচবার টিকা কেন্দ্রে যেতে হয়। একই ধরনের দুটি টিকার মধ্যে ন্যূনতম ১ মাস বা ৩০ দিন সময়ের ব্যবধান রেখে যত দ্রুত টিকা দেওয়া যায়, ততই মঙ্গল। তবে তার জন্য চাই আগাম সতর্কতা।

টিকা দিতে যাওয়ার আগে করণীয়

বাড়ির বড়দের কেউ একজন আগে থেকে গিয়ে টিকাদান কেন্দ্রটির সার্বিক অবস্থা দেখে আসবেন। যে টিকাদান কেন্দ্রে ভিড় কম, সেখানেই যাওয়া উচিত।

টিকা দেওয়ার দিন

টিকা দিতে যাওয়ার দিন শিশুর সঙ্গে খুব বেশি মানুষ না যাওয়াই ভালো। বড়রা মুখে অবশ্যই মাস্ক পরবেন। খেয়াল রাখুন, যিনি টিকা দিচ্ছেন, তিনি মাস্ক পরেছেন কি না। শিশু মাস্ক না পরতে চাইলে ওড়না বা শাড়ির আঁচল দিয়ে তার নাক-মুখ আলতো করে ঢেকে রাখতে পারেন। টিকা কেন্দ্রে গিয়ে অযথা কারও সঙ্গে আলাপ বা গল্পগুজব করবেন না, কোনো কিছু তো স্পর্শ করবেনই না। ভিড় এড়িয়ে চলুন।

টিকা দেওয়া শেষে দেরি না করে বাড়ি চলে আসুন। তাৎক্ষণিক ভালোভাবে গোসল করে নিন। শিশুকেও গোসল করালে ভালো। শিশু ও আপনার কাপড় গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টিকা দেওয়ার পর শিশুর জ্বর আসতে পারে। এ নিয়ে ঘাবড়াবেন না। প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়ালে এই জ্বর সেরে যায়। তবে মনে রাখবেন, টিকা দেওয়ার আগে থেকেই শিশুর জ্বর-কাশি থাকলে ভালো না হওয়া পর্যন্ত টিকা দিতে না যাওয়াই ভালো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত